ত্বকী হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চান ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি
নারায়ণগঞ্জের কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চেয়েছেন ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি। বুধবার এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ত্বকীকে হত্যা করা হয় ৬ মার্চ ২০১৩। এ হত্যার চার বছরেও মামলার অভিযোগপত্র না দেয়ায় তারা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংবাদমাধ্যমে আমরা জেনেছি এ হত্যার সাথে জড়িত একাধিক ঘাতক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। গত তিন বছর আগে এ হত্যার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ হত্যার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের একটি খসড়া অভিযোগপত্র প্রদান করেছেন। কিন্তু অদ্যাবধি সে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই। আমরা দ্রুত অভিযোগপত্র প্রদানের জন্য ও এ নির্মম হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন করার জন্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে সই করেন আহমদ রফিক, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সনজীদা খাতুন, কামাল লোহানী, হাসান আজিজুল হক, যতীন সরকার, বদিউল আলম মজুমদার, হায়াৎ মামুদ, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ, শান্তনু কায়সার, সফিউদ্দিন আহমদ, সারোয়ার আলী, মালেকা বেগম, শফি আহমেদ, মামুনুর রশীদ, আয়েশা খানম, মফিদুল হক, এম এম আকাশ ও আনু মুহাম্মদ।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ নগরীর শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দুদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল থেকে ত্বকীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে কলেজ রোড এলাকায় তার টর্চার সেলে নির্যাতন চালিয়ে ত্বকীকে হত্যা করা হয়।
এই মামলায় গ্রেপ্তার ভ্রমর, জ্যাকি ও লিটন আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। তিনি জামিন পেয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি