পেশা বদল করছে সিরাজদিখানের তাঁত শিল্পের কারিগর
দিন বদলের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যচ্ছে তাঁতীদের জীবন ও জীবিকা। তাদের জীবিকা উপার্যনের এক মাত্র পথ ছিল তাঁত শিল্পের হাতে বুনা শাড়ি, কাপড়, লুঙ্গি, গামছা নিত্র প্রয়োজনীয় কাপড়সামগ্রী। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ এ পেশা বিলুপ্তের পথে। এখন যোগ হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক তৈরি হওয়ায় তাঁতীদের কদর কমে গেছে। তাই তাদের নিত্য চাহিদা পূরণ না হওয়ায় তারা পেশা বদল করছে।
এক সময় উপজেলার ১৬৮ গ্রামে তাঁত শিল্পের অবস্থান ছিল কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হতো কাপড় বুনার কাজ। এ কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যোগান দিত। তাঁতের ঠকঠকানি শব্দে মুখরিত থাকত গ্রামগুলো। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ আর সেই শব্দ শোনা যায়না। এখন তাঁত শিল্প আর চোখে পড়ার মত নয়।
উতবে এখনো উপজেলার শেখর নগর ইউনিয়নের পাউসার, উত্তর পাউসার, শেখরনগর এলাকার কিছু কিছু তাঁতী বাব-দাদার এ পেশা ধরে রাখছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, শেখরনগর ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক তাঁতী পরিবার রয়েছে। জীবিকার তাগিদে কেউ কেউ অন্য পেশায় যোগ দিয়েছে। আবার অনেকে বাপ-দাদার এ পেশাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
একাধিক তাঁতী জানান, সুতা ও রং এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কারিগরের মজুরি দিয়ে এখন আর লাভ থাকে না। তাই এ পেশা বদল করে অন্য পেশায় ঝুঁকছে এখানকার তাঁতীরা।
(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন