শ্বাসরোধে গৃহবধূ হত্যা, পরে বৈদ্যুতিক শক
মাধবপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে জরিনা বেগম ঝরনা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ^াসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পরে মৃত দেহের পেটে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আল আমিন (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের গাংগাইল গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয়মাস আগে উপজেলার গাংগাইল গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার মেয়ে জরিনা বেগম ঝরনাকে বিয়ে দেওয়া হয় একই উপজেলার জগদিশপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল আমিনের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক মাস পরেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
আল আমিনকে সন্দেহ করত তার স্ত্রী। গত ছয়দিন আগে আল আমিন তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতের কোনো এক সময় আল আমিন তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্ত্রীর পেটে বৈদ্যুতিক শক দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে আল আমিন তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে লোজনকে বলেন তার স্ত্রী বৈদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছে। তখন জরিনার পরিবারের লোকজনদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তারা আল আমিনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং আল আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
থানা পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন তার স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)