কুড়িগ্রামে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী হুক্কা

সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০১৭, ১১:৫৮

কালে কালে বদলায় সমাজ হারিয়ে যায় অতীত ঐতিহ্য। কালের আবর্তে কুড়িগ্রামে হারিয়ে গেছে গ্রামীণ জনপদের বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনুসঙ্গ হুক্কা।

৫০/৬০ দশকেও জনপ্রিয় ধুমপানের মাধ্যম ছিল হুক্কা। এক সময় বঙ্গদেশের কৃষক-শ্রমিক বাড়ির ওঠোনে সকালে ও বিকালে কাজের ফাঁকে আয়েসী ভঙ্গিতে এক ছিলিম তামাকের সাথে নারিকেলের আশে আগুন ধরিয়ে তা ছিলিমে দিয়ে পরমান্দে হুক্কা টানত। এতে কৃষকরা ক্লান্তি কেটে পরিতৃপ্ত পেত। জমিদার জোতদার ও গ্রামের মোড়লরা নানাভাবে তামাক তৈরি করে হুক্কায় টান দিয়ে পরম আনন্দে তৃপ্তির স্বাদ নিত।

অধিকাংশ শ্রমিকরা নিজের ক্ষেতের তামাক শুকিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে নালী মিশিয়ে ছিলিমে করে ধুমপান করত।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের যতিন চন্দ্র সরকার (৭০) তিনি একটানা ৪৫ বছর ধরে হুক্কা দিয়ে ধূমপান করেন। তিনি বলেন, আগে গ্রামের সবাই হুক্কা টানত। এখন হুক্কা ছেড়ে বিড়ি সিগারেট ও গাঁজা খায়। এই গ্রামে এখন আমি একাই হুক্কা টানি। হুক্কার নেশায় যারা অভ্যস্ত তারা হুক্কা ছাড়া থাকতে পারবে না। সকালে ঘুম থেকে ওঠে হুক্কার পানি বদলায়ে না খাইলে আমার পেট পরিষ্কার হয় না। আমার হুক্কা আমি নিজেই তৈরি করি।

কিভাবে হুক্কা তৈরি করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুনা নারিকেলের একটা মালাই দুটো ফুটো করে তার উপর কারুকার্য করা একটি কাঠের নল তৈরি করে তাতে মাটির তৈরি ছিলিম বা কলকি দিয়ে নারিকেলের মালাই ভর্তি পানি ভরালেই হুক্কা হয়ে যায়।

আগের আমলে জমিদার জোতদারা পিতলের হুক্কা ব্যবহার করত।

(ঢাকাটাইমস/৩মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :