কুড়িগ্রামে ভেজাল পণ্যে বাজার সয়লাব

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০১৭, ১৮:৫৭

কুড়িগ্রামে ব্যবসায়ীদের অসাধুতায় বিষাক্ত পণ্যে সয়লাব হয়েছে বাজার। ভোক্তারা কি খাচ্ছেন নিজেরাই বুঝতে পারছেন না। ভেজাল পণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ওজনে কারচুপি, অধিক মূল্যসহ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ঠকানো হচ্ছে ভোক্তাদের।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিগত ৬ মাসে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও হাজার হাজার ভেজাল ও নকল খাদ্যসামগ্রী বিনষ্ট করেছে সংস্থাটি। তাতেও থেমে নেই বিষাক্ত পণ্য তৈরির কাজ।

ভোক্তাদের ঠকিয়ে কীভাবে লাখ লাখ টাকার মালিক হওয়া যায় এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে কুড়িগ্রামের প্রায় ব্যবসায়ী। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে মহাজনি ব্যবসায়ীরাও অসাধু উপায় অবলম্বন করায় সরকারিভাবে অভিযান চালিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব অপকর্ম।

কুড়িগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৬ মাসে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ৫৫০টি প্রতিষ্ঠানের বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে ৪১৯টি প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও বাকি ১৩১টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অঙ্কে ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্য পণ্য তৈরি ও নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, মেয়াদোত্তীর্ন পণ্য ও ঔষধ, পণ্যের ওজন, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, পণ্য ও সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয়, ওজনে কারচুপি, ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করাসহ একাধিক অসাধু উপায় অবলম্বনের অভিযোগ রয়েছে।

জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জানান, বাজার তদারকিতে জরিমানা আরোপ ও আদায়ের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও তাদের অপরাধ সতর্ক করা হয়েছে।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধক কমিটির সভাপতি একেএম সামিউল হক নান্টু ঢাকাটাইমসকে জানান, সমাজে ভেজাল মানুষের মতো ভেজাল পণ্যের সয়লাব হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে নীতি, মূল্যবোধ ও বিবেক মরে গেছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ এখন অসহায়। খাদ্য দ্রব্যে অধিক হারে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যবহারের ফলে রোগ-ব্যাধি বেড়ে গেছে। এসব অপকর্ম ঠেকাতে হলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সজাগ হতে হবে। যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদী হতে হবে। তাহলে এরা অপকর্ম করতে সাহস পাবে না।

কুড়িগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী ঢাকাটাইমসকে জানান, ব্যবসায়ীদের অপরাধগুলো মারাত্মক। অনেক ব্যবসায়ী এ ব্যাপারে সচেতন নন। ভোক্তাদের পরিণাম চিন্তা না করে ব্যবসায়িক মুনাফা লাভের জন্য অপরাধের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই সচেতন হতে হবে। তাহলে অপরাধ কমে যাবে।

(ঢাকটাইমস/৪মার্চ/প্রতিনিধি/আইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :