ইতি চাকমা হত্যায় ফুঁসে উঠছে খাগড়াছড়ি

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০১৭, ১৮:২৪

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কলেজছাত্রী ইতি চাকমা হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠছে খাগড়াছড়ি। রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

সকালে তারা মিছিল নিয়ে চেংগী স্কোয়ার হয়ে শহরের মহাজনপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ শেষে সমাবেশ করে। এসময় প্রায় আধাঘণ্টা শহরের প্রধান সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৪র্থ বর্ষের ছাত্র উৎপল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী, নিঅংগ্য মারমা, ধন কিশোর ত্রিপুরা, টুটুল চাকমা, রিটন তালুকদার এবং নুশ্যাচিং মারমা।

২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকায় খুন হয় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী  ইতি চাকমা। তাকে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ভগ্নিপতির ভাড়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

ইতি চাকমা জেলার দীঘিনালা উপজেলার ছনখোলাপাড়ার মৃত অন্ত্ররেন্দ্রীয় চাকমার কন্যা।

খাগড়াছড়ি শহরের আরামবাগ এলাকায় বাবুল নাগের বাসায় গত ছয় মাস ধরে ভাড়া থাকতেন অটল চাকমা। এখানে ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে কলেজে পড়াশোনা করতেন ইতি চাকমা। স্ত্রী জোনাকি চাকমা দীঘিনালা উপজেলার বানছড়া আনন্দময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী ইতি চাকমার খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে সিআইডি পুলিশ।

২ মার্চ দুপুরে সিআইডি চট্টগ্রামের ইন্সপেক্টর মিতশ্রী বড়ুয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।

সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মিতশ্রী বড়ুয়া জানান, স্থানীয় পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য এসেছেন।

সিআইডি পুলিশেরও ধারণা,একার পক্ষে এ হত্যা সম্ভব নয়। হত্যাকারীরা  একাধিক ও পূর্ব পরিচিত হতে পারে। ইতি চাকমাকে হত্যার আগে নেশা জাতীয় মেশানো কিছু খাওয়ানো হতে পারে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যে গলা কাটা হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)