মাদক বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে জালালকে হত্যা
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাদক কারবারি নিয়ে অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জেরে ছুরিকাঘাতে জালাল হাওলাদারকে (৫০) হত্যা করার হয়েছে।
মঙ্গলবার এ তথ্য জানান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুজন চক্রবর্তী।
নিহত জালাল উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দুর্বৃত্তরা মোবাইল ফোনে জালালকে ডেকে বাড়ির অদূরে একটি বাগানে নেয়। সেখানে তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।
সন্ধ্যার পর তাকে স্বজনরা বাগান থেকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ ফখরুল ইসলাম মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে জানান, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করা হয়েছে। মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এ দিকে নিহতের স্ত্রী পারুল বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে দুই জনের নাম উল্লেখসহ চার জনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ওই রাতে মারুফ সর্দার (২০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মারুফ সর্দার ভান্ডারিয়া পৌরসভার সর্দার পাড়ার জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে। এ মামলায় জাহাঙ্গীর সর্দারও আসামি।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সুজন চক্রবর্তী জানান, জালাল দীর্ঘ দিন থেকে তাদের সঙ্গে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য বেচা-কেনার কারবারে জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে সম্প্রতি দ্বন্দ্বের কারণে তারা তাকে হত্যা করা হয়েছে। মারুফকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)