মুফতি হান্নানের প্রিজনভ্যানে ‘হামলাকারী’দের একজন নরসিংদীর মাদ্রাসা ছাত্র
ফাঁসির দ-প্রাপ্ত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদেরকে মুক্ত করার চেষ্টায় প্রিজনভ্যানে আমলার অভিযোগে নরসিংদী থেকে আটক মিনহাজুল ইসলামকে আটক করা হয় স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে। ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণ শেকেরচরের বাবুরহাটের কওমি মাদ্রাসা জামিয়া ইমদাদিয়া আরাবিয়ায় পড়তেন।
নরসিংদী জেলা পুলিশের সহযোগীতায় গাজীপুরের টঙ্গী থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে মিনহাজুলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই মাদ্রাসার কামেল শ্রেণির ছাত্র।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল আশরাফ আলী জানান, মিনহাজুল ইসলামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কাচিকাটা গ্রামে। তার ছাত্র যে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত, তা জানা ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
গত সোমবার বিকালে একটি মামলায় হাজিরা শেষে ঢাকা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ফেরার পথে মুফতি হান্নানকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানে হামলা হয় টঙ্গীর কলেজ গেইট এলাকায়। হামলার পর পর আটক হন মোস্তফা কামাল ইমান নামে একজন। তিনি হামলাকারীদের একজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার ব্যাগ তল্লাশি করে তাজা হ্যান্ডগ্রেনেড, চারটি ককটেল, দুটি পেট্রল বোমা, দুটি চাপাতি ও কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার হয়।
পরদিন আদালতে তোলার পর মোস্তফা কামালকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দেন বিচারক। আর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার সহযোগী হিসেবে মিনহাজুলের নাম বলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, হামলার পর পর মিনহাজুল তার মাদ্রাসায় ফিরে যান। বিষয়টি নিয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। রাতে মাদ্রাসায় পুলিশ আসার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীরা মিনহাজের জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা জানতে পারে।
নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম জানান, মোস্তফা কামাল ইমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মিনহাজুলকে নরসিংদীর জামিয়া ইমদাদিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে টঙ্গী পাঠানো হয়।
মিনহাজুলকে আটকের সময় তার কাছ থেকে অভিনব একটি বিদেশি অস্ত্র ও ১৫টি গুলি পাওয়া যায়। টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, এই ধরনের অস্ত্র তিনি কোনোদিন দেখেনি। এটি যে অস্ত্র সেটিই বোঝা কঠিন।ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন