নতুন জামা পরে স্কুল যাচ্ছে জামালপুরে সেই পথশিশুরা
নতুন জামা পরে, বই নিয়ে এখন স্কুলে যাচ্ছে জামালপুর শহরের মোসলিমাবাদের অবহেলিত সেই পথশিশুরা। শিক্ষার আলোয় প্রবেশ করায় তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। পাল্টে গেছে শিশুদের জীবনযাত্রা।
বুধবার সকালে শহরের মোসলিমাবাদ এলাকার শিশু সালাউদ্দিন, স্বাধীন ও মেঘলাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মায়ের মনেও জেগে উঠেছে শিক্ষার প্রেরণা। তিনি বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি করছেন। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই নতুন জামা পরিয়ে বই হাতে দিয়ে শিশুদের নিয়ে যান ‘মোসলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’। স্কুলে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে তারা। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।
এই উদ্যোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, একজন জেলা প্রশাসক যখন অবহেলিত শিশুদের পাশে দাঁড়াবে, তখন সমাজের বিত্তশালীরাও অবহেলিত অন্য শিশুদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
কদিন আগেও যাদের চোখে মুখে ছিল ক্ষুধার ছাপ। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সারাদিন ঘুরে-বেড়াতো রাস্তা-ঘাটে। ক্ষুধা নিবারণে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরত। ডাস্টবিনে থেকেও কুড়িয়ে খেত খাবার। এভাবেই জীবন কাটতো এই পথশিশুদের। কিন্তু আজ সমাজের অন্য শিশুদের মত এখন তারা স্কুলে যাচ্ছে।
ঢাকাটাইমসে গত ৫ মার্চ ‘জামালপুরে অবহেলিত চার শিশুর করুণ জীবনচিত্র’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন দেখে তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসক। জামালপুর শহরের মুসলিমাবাদের একই পরিবারের অসহায় এই চার শিশুর পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেন শাহাবুদ্দিন খান।
গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক নিজেই তাদেরকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। এই চার শিশুকে পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থাই করা হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক।
(ঢাকাটাইমস/৮মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)