পলাশে বিএনপি নেতা মঈন খানের জনসংযোগ

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০১৭, ১৮:০৩ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭, ১৮:৩৪

এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় নির্বাচনের বছর দেড়েক বাকি থাকতে নরসিংদীর পলাশে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে কি না-এই প্রশ্নের মধ্যেই মঈন খান তার নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। এই এলাকা থেকেই তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নরসিংদী-২ সংসদীয় আসনের পলাশে গণসংযোগ করেন আব্দুল মঈন খান। তিনি চরসিন্দুর, আমতলা, পারুলিয়া সহ কয়েকটি স্থানে পথ সভা করেন।

বিএনপি নেতার এই জনসংযোগ আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি কি না, এ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে আলোচনা। এসব পথসভায় মঈন খান তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে তুলে ধরেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এই প্রশ্নের সুরাহা হয়নি এখনও। তবে যে দাবিতে বিএনপি আগের নির্বাচন বর্জন করেছিল সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা আর বলছেন না দলের নেতারা। নতুন নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করলেও দলটির নেতাদের বক্তব্য অনেকটাই নরম। পাশাপাশি দলীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী কোনো দল পর পর দুই বার নির্বাচন বর্জন করলে তাদের নিবন্ধন থাকবে না। এ কারণেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে সরকারি দলের নেতারা বলে আসছেন।

এই পরিস্থিতিতে মঈন খান এলাকায় গিয়ে নেতা-কর্মীদেরকে বিএনপির অবস্থান বর্ণনা করেন।

বিএনপি নেতা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তার জনসংযোগের সঙ্গী নেতারা জানান, চরসিন্দুরের পথসভায় বিএনপি নেতা বলেছেন, সরকার জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপি আর কোনো সংঘাতে যেতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সব সমস্যার সমাধান চায় বিএনপি। তবে সেটা সম্ভব না হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

জনসংযোগে পলাশ উপজেলার বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলকে আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্যও আহ্বান জানান মঈন খান। বলেন আন্দোলন বা নির্বাচন, যেই ঘোষণাই আসুক না কেন, দলের হয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য আগাম প্রস্তুতি থাকতেই হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এফরান আলী, সহ সভাপতি আবদুল আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন জনি, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান টিপু, ঘোড়াশল শহর বিএনপির সভাপতি এম এ ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল হক প্রমুখ।

শ্রমিকদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরাও এই জনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি