ধর্ষণের অভিযোগে পীরের নাতির নামে মামলা

পাবনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ মার্চ ২০১৭, ২৩:৫৪ | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০১৭, ২৩:৫২

পাবনায় মো. খাইরুজ জামান খাজা (২০) নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে এক মেয়ে। অভিযুক্ত তরুণ পাবনার আতাইকুলায় চড়াডাঙা পীর মৃত আব্দুল হাইয়ের নাতি বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

রবিবার বিকেলে আতাইকুলা থানায় এই মামলাটি রজু হয়।

জানা যায়, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পাশ্ববর্তী গঙ্গারামপুর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করে পীরের নাতি খাইরুজ জামান খাজা। সে ওই ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করার প্রলোভনে তার সাথে রাত যাপন করে। প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষ বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের বাবাকে বিষয়টা অবহিত করে। পরে সবাই মিলে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে ফেলে। ঘটনা স্থলে উত্তেজিত এলাকাবাসী পীরের নাতিকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে মেয়েটির সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু বিষয়টি জানাজনি হলে পীর পরিবারের প্রভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছেলেকে উদ্ধার করে থানাতে নিয়ে যায়। পরে থানাতে নিয়ে মেয়েকে বাদী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করানো হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনার বিষয়ে মেয়ের বাবা বলেন, শনিবার গভীর রাতে লুকিয়ে আমার বাড়িতে আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে খাজা। আমরা বিষয়টি জানতাম না। পরে এলাকাবাসী আমার বাসায় আসলে তাদের কথা মতো আমি ওই ঘরের ভেতরে পীরের নাতিকে পাই। বিষযটি নিয়ে থানায় মামলার পর থেকেই মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্যে পীর পরিবারের লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

মেয়ে বলেন, খাজা আমাকে ভয় দেখিয়ে এবং প্রেমের প্রলভন দিয়ে মাঝে মধ্যে তার সাথে দেখা করতে আসতো এবং অনৈতিক কর্মকাজের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতো।

এই বিষয়ে ছেলের বাবা জিল্লুর রহমান বুনি ইয়ামিন বলেন, আমার ছেলে পাপ কাজ করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত। আমি নিজে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। আমি বারবার অপমানিত হতে চাই না। একবার ভুল করে শিক্ষা নিতে হবে। আমি আমার ছেলের এ ধরনের কাজের শাস্তি চাই।

এই বিষয়ে আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এই ধরনের ঘটনা মোটেও সমর্থন যোগ্য নয়। তবে থানায় যেহেতু মামলা হয়েছে, সেহেতু এখন এটা আইনের বিষয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ছেলে এবং মেয়েকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানাতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়েছে। মেয়ে নিজে বাদী হয়ে খাজার নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রপোর্ট পাওয়ার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রকৃত বিষয়টি কি। এখন আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :