সার নিয়ে বিপাকে কিশোরগঞ্জের ডিলাররা

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৭, ০৯:০৯ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭, ১০:১৫

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জ জেলার সার ডিলাররা চায়না থেকে আমদানিকৃত জমাট বাধা মোটা দানার সার নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন। এসব সার বস্তায় জমাট বাঁধা, ওজন কম, বস্তা ছেঁড়া-ফাড়া, সারের রং লালচে হয়ে গেছে বলে ডিলাররা অভিযোগ করেন।  কৃষকরা এসব সার কিনতে অনাগ্রহী হওয়াই এই জেলায় প্রায় এক হাজার মে. টন (২০ হাজার বস্তা) জমাট বাঁধা সার অবিক্রিত অবস্থায় মজুত রয়েছে। ফলে ডিলাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ তাদের পুঁজি আটকে আছে।

জেলার ১৩টি উপজেলার ১৭৫ জন ডিলারকে প্রতিমাসেই ইউরিয়া সারের বরাদ্দ দেয়া হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই জেলার  ডিলারদের ২৬ হাজার ৯৫৬ মে. টন সার বরাদ্দ দেয়া হয়। তার মধ্য  আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে ২০% জমাট বাঁধা মোটা সার সরবরাহ দেয়া হয় বলে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন, কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের (বিএফএ) সভাপতি তারিক আহমেদ জানান।

কৃষকরা বলছেন, টাকা দিয়ে আমরা সার কিনব- জমাট বাঁধা, ফাড়া-ছেঁড়া বস্তার খারাপ সার নেব কেন। এসব জমাট বাঁধা, শক্ত সারের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন প্রধান জানান, জমাট বাঁধা এসব ইউরিয়া সার কৃষকদের জমিতে ছিটানো কষ্টকর এবং গুণগত মান সঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলার বিএফএ সাধারণ সম্পাদক মো. আ. হেকিম জানান, আমরা বারবার বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে চায়না জমাট বাধা সার সরবরাহ না দিতে অনুরোধ সত্বেও কর্তৃপক্ষ নিয়মিত জমাট বাধা সার সরবরাহ করছে।

তিনি আরো জানান, আমাদের জেলায় গত দুই মাসে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার বস্তা জমাট বাঁধা সার অবিক্রিত অবস্থায় মজুত পড়ে আছে। ডিলারদের অনেকেই স্বল্প পুজিঁতে ব্যবসা করেন, আবার অনেকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। জমাট অবিক্রিত সারের পুঁজির টাকার মাসে মাসে ব্যাংক সুদ দিতে হচ্ছে ডিলারদের। ফলে এ সার নিয়ে এখন ডিলাররা ক্ষতির সম্মুখীনসহ অনেককেই ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শফিকুর রহমান জানান, সরকারিভাবে এসব সার সরবরাহ দেয়া হলে আমাদের কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, চীন থেকে আমদানিকৃত  জমাট বাঁধা সার ডিলারদের সরবরাহ না দিতে জেলা প্রশাসক একটি পত্র দিলেও কোন কাজ হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)