বিপর্যয়ের মুখে গজারিয়ার আলু চাষিরা
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কুষকদের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল আলু তোলার ভরা মৌসুমে বর্ষণ ও শিলা বৃষ্টির কারণে চাষিরা বড় ধরনের বিপর্য়য়ের মুখে পড়েছেন।
কৃষক ও স্থানীয়রা জানায়,উপকূলে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েক দিন আগে অতি বর্ষণের কারণে আলু জমিতে পানি জমে যাওয়ায় মাটির আলুতে পচন ধরার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
এ কারণে এ বছর আলুর বাম্পার ফলনে চাষিরা যে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা অনেকটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
অবশ্য কৃষি বিভাগ দাবি করেছে, ঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে কৃষকদের তেমন ক্ষতি হওয়ার কারণ নেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যলয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। আলু উৎপাদন লক্ষ্য মাত্র ধরা হয়েছিল ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।
গত রবিবার পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির আলু।
ইমামপুর, টেংগারচর ও বাউশিয়াসহ প্রায় আটটি ইউনিয়নের আলু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাষ করা জমির প্রায় অর্ধেক পরিমাণ জমির আলু তুলতে পারেনি কৃষক বৃষ্টির আগে।
হঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের মাটির নিচে থাকা আলুসহ উত্তোলন করে জমির পাশে স্তুপ করা আলু ভিজে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার চাষি নাসির মোল্লা জানান, ১০৪ বিঘা আলু জমির মধ্যে উত্তোলন করেছি মাত্র ৩০ বিঘা।
হবুউদ্দিন বেপারী মোহাম্মদ আলী ও রিপন মিয়া জানান, আধাআধি জমির আলু তোলা হয়েছে। জমিতে পানি জমে গিয়ে আলুতে পচন ধরলে লোকসান গুনা ছাড়া উপায় নাই।
বাউশিয়া ইউনিয়নের হাসান জাহাঙ্গীর জানান,শত বিঘার বেশি আলু চাষি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মাহবুব রশিদ ছোটন জানান, আমাদের অফিসের নির্বাহী আদেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সার্বঙ্গনিক কাজ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। অসময়ে বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন