বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে স্বরূপকাঠীতে আ.লীগ দুই পক্ষ

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০১৭, ২০:৩৯

পিরোজপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জাতির জনকের জন্মদিন পালন উপলক্ষে স্বরূপকাঠিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ একই দিনে একই স্থানে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করায় উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ (মালেক-শাহ আলম গ্রুপ) বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্থানীয় স্বরূপকাঠী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৮ মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ঘোষিত সভায় পিরোজপুর জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার, পিরোজপুর পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক ও সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ শাহ আলম উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের অপর অংশ (আউয়াল সমর্থক) ১০ মার্চের অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশ থেকে তিন দিনের (১৮ মার্চ থেকে) কর্মসূচি ও একই মাঠ ব্যবহারের ঘোষণা দেয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরাই প্রথম বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালনের ঘোষণা ও সংশ্লিষ্ট অথরিটির কাছে গত ৮ মার্চ মাঠ ব্যবহারে লিখিত আবেদন জানাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেয়া আবেদনের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ওসি এ বিষয়ে জ্ঞাত। পরে জানলাম (আউয়াল গ্রুপ) একই মাঠ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়ে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে কোন গ্রুপিং আমাদের কাছে সম্মানজনক নয় বলে আমরা আমাদের কর্মসূচি শনিবারের যায়গায় শুক্রবার (একদিন আগে ১৭ মার্চ) পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইন্দেরহাট ও স্বরূপকাঠীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করব।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম হাওলাদার ঢাকাটাইমসকে জানান, আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা স্বরূপকাঠীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রথম কর্মসূচি ঘোষনা করি। পরে আউয়াল সাহেবও ঘোষণা করেন।

একটি দলের দুই ঘোষণা, এক কর্মসূচি, একই স্থান ব্যবহারে অনড় থাকলে শেষ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে বিরূপ কোন সংবাদ ছড়াতে চাই না বলেই স্থগিত করেছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব একেএমএ আউয়াল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আওয়ামী লীগের কোন গ্রুপ নেই। আমার জানা নেই অন্য কেউ বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল কিনা। ঘোষণা দিলেই না উড্ড করার কথা থাকে।

সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ শাহ-আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘হি ইজ সিম্পল মেম্বর অব ডিস্টিক্ট আওয়ামী লীগ’।

আমি এ আসনের (পিরোজপুর-১) এমপি, স্বরূপকাঠীর এমপি, আমাকে ছাড়া কোন কর্মসূচি পালনের সুযোগ ও ক্ষমতাও নাই।

কেউ যদি কোন কর্মসূচি ঘোষণা করে তবে, মাঠের অনুমতি চাইতে হবে। যদি মাঠ দাবি করত, তবে হেডমাস্টার আমার সাথে আলাপ করত। আমি ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :