ইবাদতের সুরক্ষা জরুরি
মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী ইবাদত করাই মানুষের দায়িত্ব। মানুষ যে ইবাদত করে তা যেন একমাত্র আল্লাহর জন্য হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। অনেকে প্রচুর ইবাদত করেন, মনে মনে আত্মতৃপ্তিতে ভুগেন; কিন্তু সেই ইবাদত আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে না। যে ইবাদত আল্লাহর পর্যন্ত পৌঁছে না, যে ইবাদতের দ্বারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা যায় না সেই ইবাদত যত বেশিই হোক এর কোনো মূল্য নেই। কোনো জেলে সারা দিন মাছ শিকার করে তা ধরে রাখতে না পারলে যেমন পুরো শ্রমই পণ্ড হয়ে যায় তেমনি ইবাদত আল্লাহ পর্যন্ত না পৌঁছলে তা অনর্থক।
আমরা যে ইবাদত করি এর অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়; আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে না। কোরানে কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘এমনও কিছু লোক আছে যারা এক কোণে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। অতঃপর যদি সে কল্যাণপ্রাপ্ত হয় তখন সন্তুষ্ট থাকে। আর যদি পরীক্ষার সম্মুখীন হয় তখন সে মুখ ফিরিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এটাই হলো তার স্পষ্ট ক্ষতি।’
এক শ্রেণির লোক আছে যারা ইসলাম গ্রহণের পর তাদের সন্তান-সন্তুতি ও ধনদৌলতে উন্নতি দেখা দিলে তারা মনে করে এটাই তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আর যখন তাদের কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন করা হয় তখন তারা বলে এটাতো প্রকৃত ধর্ম নয়। এই শ্রেণীর লোকেরাই ক্ষতির মধ্যে আছে। এ জাতীয় দোদুল্যমান বান্দাদের আল্লাহ সতর্ক করেছেন। ইসলাম গ্রহণের পর যারা ইসলামের আসল স্বাদ গ্রহণ করতে চায় আল্লাহ তাদের নানা বিপদ-আপদ, সম্পদের হ্রাস, সন্তান-সন্তুতির কমতি এমনকি জীবন-মৃত্যু দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যারা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং ঈমানের আসল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে তারাই প্রকৃত ঈমানদার। এজন্য প্রত্যেক মুমিনের উচিত নিজেকে ঈমানের ওপর অবিচল রাখা।
আর যারা সাময়িক কোনো বিপদ-আপদ দেখে সেখান থেকে ছিটকে পড়ে কিংবা পেছনে ফিরে যায় তারা ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। তাদের এ ক্ষতির সীমা শুধু দুনিয়ায় নয়, আখেরাতেও। আসলে পার্থিব সুখ-শান্তি আল্লাহর হাতে। তিনি কাকে কখন সম্মানিত করবেন এটা তার ব্যাপার। তাই নিজেকে সব অবস্থার জন্য তৈরি করতে হবে। কোনো ইবাদত যেন নষ্ট না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/জেবি)
মন্তব্য করুন