নারীদের স্বার্থ রক্ষায় আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০১৭, ১৯:৩৬

সদ্য পাস হওয়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ ধারা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে নারীদের স্বার্থ রক্ষায় আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিশেষ বিধান বহাল রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন- ২০১৭ পাস হওয়ার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পাস হওয়া আইনটি পুনর্বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

৭১টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির অনুষ্ঠানে আয়শা খানম বলেন, ‘অনেক আলাপ-আলোচনা, প্রতিবাদ সত্ত্বেও সংসদে আইনটি পাস হয়েছে। এবং রাষ্ট্রপতিও তাতে সই করেছেন। নারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের এখন আইনি লড়াইয়ে যেতে হবে।’

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালব্যাপী মানবাধিকার কর্মীদের নানামুখী সুপারিশ, যুক্তি, প্রচারণা ও প্রতিবাদের পরও সরকার বিশেষ ধারা বহাল রেখে আইনটি পাস করেছে, যা চরমভাবে নারী, তথা সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি, যারা নারীর মানবাধিকারে বিশ্বাসী নয়, তারা এই বিশেষ ধারার সুযোগ নেবে।

তারা বলেন, পাস হওয়া আইনটির বিভিন্ন ধারা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি এতে ‘বৃহত্তম স্বার্থ’ বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এমনকি আদালতে অনুমতিতে যে বিয়ে হতে পারবে, সেখানে কোন ‘আদালত’, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। ধারা (৩)-এ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা বিশেষ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া, বিশেষ ধারা শিশু অধিকার সনদ, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, সিডও সনদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের পরিপন্থি।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, আইনটির বিশেষ ধারা অপরাধীদের অপরাধ সংগঠনে উৎসাহিত করবে। একটি পরিবারকে চাপে ফেলে অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে।

দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক (প্রোগ্রাম) দিলীপ সরকার বলেন, ‘সরকার ধর্মান্ধ, মৌলবাদী গোষ্ঠীকে খুশি করতে এই ধারা রেখেছে। যেমনটি করেছে পাঠ্যবইয়ে। সরকারের মনোভাব যদি এমন হয়, তবে আমাদের আদালতে যেতেই হবে।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মেয়েদের বিয়ের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ পাস হয়। এতে বিশেষ প্রেক্ষাপটে সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের নির্দেশ এবং মা-বাবার সম্মতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদেরও বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

নারীমেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা