বাণিজ্যিক ছবির দর্শকও আমাকে গ্রহণ করেছে: মৌসুমী হামিদ

মাহমুদ উল্লাহ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১০:১৫ | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০১৭, ০৮:২৬

বাংলাদেশের দীর্ঘাঙ্গী অভিনেত্রীদের মধ্যে মৌসুমী হামিদ অন্যতম। নাটকে দারুণ ব্যস্ত এই অভিনেত্রী সিনেমাতেও কাজ করছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সামনে কাজ করবেন সুমন আনোয়ারের ‘কয়লা’ সিনেমায়। আগামী ঈদের নাটকের কাজও শুরু করে দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা হয় বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদের। সেখানে উঠে এসেছে তার কাজ, ব্যস্ততা, ভাবনাগুলো।

‘কয়লা’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের খবর কী?

এপ্রিলে ‘কয়লা’র শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মনে হচ্ছে হবে না। কিছু সমস্যার কারণে দেরি হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিচালক সুমন আনোয়ার ভাই ভালো বলতে পারবেন।

এ ছাড়া কী কাজ করছেন?

নতুন ধারাবাহিক ‘সুখী নীলগঞ্জ’-এর কাজ করছি। এ মাসের ১৪ তারিখ এর শুটিং শুরু হয়েছে। নাটকটির পরিচালক সুমন আনোয়ার। এ ছাড়া সিঙ্গেল নাটক ও টেলিফিল্মের কাজ করছি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

এই বছরের মধ্যে ‘কয়লা’র শুটিং শেষ করব। একটু ভালো ও ভিন্নধর্মী নাটক করতে চাই। এ ধরনের গল্প বেশি প্রাধান্য দেব।

একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করলেন।

হ্যাঁ, ‘শেষ দেখা’নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির কাজ শেষ করলাম। খুবই ভালো একটি গল্প নিয়ে ছবিটি তৈরি। আমার খুব ভালো লেগেছে। এটার সম্পাদনার কাজ শেষ, ডাবিং শুরু হবে। একটি ভ্রমণকে কেন্দ্র করে ছবির গল্প। এখন এর বেশি বলতে চাই না। আমরা অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছবির শুট করেছি। মংলার বানিয়া শান্তায় গিয়েছিলাম শুটের জন্য। ২২ মিনিটের ছবিটি শিগগিরই প্রকাশিত হবে।

বর্তমান টিভি নাটকের অবস্থা কেমন মনে হয় আপনার কাছে?

সবাই বাইরের চ্যানেল দেখে। আমরা দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ধরে অনেক কষ্ট করে একটি নাটক তৈরি করি। কিন্তু মানুষ এখন দেশের নাটক কম দেখে; সবাই স্টার জলসায় মেতে আছে। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি বাঁচাতে অবশ্যই সবার দেশীয় চ্যানেল দেখা উচিত। ইউটিউবে কিন্তু দেশের একেকটা নাটকের অনেক ভিউ। মূলত তরুণরাই এসব নাটক দেখে। চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে অনেকে সেখানে যেতে চা্য় না। ইয়ংরা ইউটিউবে নাটক দেখে নিচ্ছে। তবে মা-চাচিরা স্টার জলসায় ডাইভার্ট হয়ে গেছে।

তাহলে কী করা উচিত বলে মনে করেন?

রাইসুল ইসলাম আসাদ ভাইয়ের সঙ্গে একটি সেটে ছিলাম। তখন তার কাছে শুনেছিলাম, যখন বিটিভিতে ‘সংশপ্তক’ নাটকটি শুরু হতো তখন রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত। মানুষ দোকানপাট বন্ধ করে নাটকটি দেখত। আর এখন আমি নিজেই আমার নাটক দেখতে পারি না বিজ্ঞাপনের জ্বালায়। অথচ দেখেন ঈদের সময় কিন্তু মানুষ ঠিকই নাটক দেখে। তাহলে একে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন। আমাদের দর্শকদের চাহিদা মাথায় রেখে বড় বড় পরিচালকরা আগে নাটক তৈরি করত। এখন কি তা হচ্ছে?

বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে আপনাকে এখন কম দেখা যাচ্ছে।

চার-পাঁচটা বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে যাচাই করে দেখেছি। পরে ‘জালালের গল্প’-এ নিজের অভিনয় দেখে আমি বুঝতে পেরেছি এ ধরনের কাজই আমি আসলে বেশি করতে চাই। এখানে কাজ করে আমার ভালো লেগেছে। তবে গল্প-চিত্রনাট্য পছন্দ হলে সব ধরনের কাজই করব। বাণিজ্যিক ধারার ছবির দর্শকও আমাকে গ্রহণ করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এমইউ/এসজেআর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :