একরাম হত্যা মামলা ছয় মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৭, ১০:৫৮ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৫:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক হত্যা মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীর হাইকোর্টের দেয়া জামিনও বাতিল করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেয়।

আদালতে মিনার চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০১৪ সালের ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে একরামুল হককে তার গাড়িতে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও গাড়িচালকও দগ্ধ হন।

ওইদিন রাত একটার দিকে নিহত একরামুল হকের বড় ভাই তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ফেনী জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মাহতাব উদ্দিন মিনারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় মামলা করেন।

ওই বছরে ২৮ আগস্ট মিনার চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তবে বিচারিক আদালতে মামলাটির নিষ্পত্তি করা যায়নি এখনও।

মিনার চৌধুরী ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন- ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী জিহাদ এবং ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো ভাই ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড় মনির ছেলে আবিদুল ইসলাম আবিদ।

আসামিদের মধ্যে মিনার চৌধুরী, আবিদ, জিহাদ, ফেনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, একরামের একান্ত সহযোগী ও আনন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন পাটোয়ারীসহ ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের মধ্যে ১৬ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

তবে মিনার চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি এই ঘটনার কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক কারণে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তার দাবি, একরাম হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্বের জেরে।

মিনার চৌধুরী গ্রেপ্তার হলে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। গত ৪ ডিসেম্বর এর বিরুদ্ধে আপিল হলে এই ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত  স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছিল আপিল বিভাগ।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুরসহ রুল জারি করে। এর আগে ৫ অক্টাবর তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এছাড়া গত ১৩ এপ্রিল মিনার চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

(ঢাকাটাইমস/১৯ মার্চ/এমএবি/ডব্লিউবি)