বালাইনাশক আইনে জরিমানা বাড়ছে
দীর্ঘদিনের ইংরেজিতে তৈরি বালাইনাশক অধ্যাদেশ ও আইন বাংলায় রূপান্তরের প্রস্তাব রেখে বালাইনাশক আইন-২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া আইনে আর্থিক জরিমানা বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, ‘পেসটিসাইড অর্ডিনেন্স ১৯৭১কে আইন আকারে করা হয়েছে। আগে এটি ইংরেজিতে থাকলেও এখন তা বাংলায় করা হয়েছে। এছাড়া এখানে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দুই-এক জায়গা ছাড়া আইনের অন্যসব ধারা আগের মতো আছে। তবে আগে ২১ ধারায় থাকা অপরাধের শাস্তিকে ১৮ ধারায় প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি ১৯৭১ সালের পর ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে দুইবার সংশোধন করা হয়েছে। তবে এবার খুব কম সংশোধনী আনা হয়েছে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘১৮ এর ১ ধারায় জেলা জরিমানা কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে কোনো নির্দেশনা বা আইনের কোনো আদেশ-নির্দেশ অমান্য করা হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। দ্বিতীয়বার অমান্য করা হলে ১ লাখ টাকা জরিমানা, তৃতীয় বার অমান্য করা হলে দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আগে এটা ছিল যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকা, ৭৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ টাকা।’
সচিব বলেন, ‘মূল শাস্তির কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। দুই বছর জেল ও এক বছর কারাদণ্ডের আগের বিধানই বহাল আছে।’
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে অধ্যাদেশের মাধ্যমে এতোদিন বালাইনাশকের আইনটি চলে এসেছিল। ভাষাও ছিল ইংরেজি। এবার তা সম্পূর্ণ বাংলায় হওয়ায় সবাই আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেননা যারা (কৃষক পর্যায়ে) অধিক বালাইনাশক ব্যবহার করেন তারা কিন্তু ইংরেজিতে দক্ষ কম। ফলে বিভিন্ন তথ্য তাদের অজানা থাকে। আইনটিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধের বিষয়ে বলা হয়েছে, অন্য কেউ রেজিস্ট্রার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি, বিক্রির জন্য উন্মুক্ত, মজুত বা বিজ্ঞাপন দিলে উপাদানগুলো গুণাগুণযুক্ত নয় অথচ বিক্রি করলে, বিজ্ঞাপনে মিথ্যাভাবে উপস্থাপন বা এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অপরাধটি শাস্তিযোগ্য হবে।
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এমএম/এমআর)