দিতির প্রথম মৃত্যূবার্ষিকী আজ
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গতবছর এই দিনে তিনি মারা যান। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে এই শিল্পী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অভিনয় অনেকদিন মানুষ স্বরণ করবে।
গত বছর ২০ মার্চ ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চিত্রনায়িকা দিতি। তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দত্তরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় দিতিকে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে আজ বাদ আসর তার স্মরণে এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। দেশের মানুষের কাছে হয়ে ওঠেন দারুণ জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী। শুধু দেশের মানুষের কাছে নয়, দিতি জনপ্রিয় ছিলেন তার সমসাময়িক, আগের ও পরের প্রজন্মের শিল্পীদের কাছেও প্রিয় এবং আপন।
পারভীন সুলতানা দিতি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন দিতি। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’, কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতির মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
৩১ বছরের অভিনয় জীবনে শুধু নিজেকে সিনেমায় ব্যস্ত রাখেননি এই অভিনেত্রী। নাটকেও অভিনয় করেছেন এবং পরিচালনাও করেছেন। রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনায়ও দেখা গেছে তাকে। অভিনয়ের বাইরে মাঝেমধ্যে তিনি গানও গাইতেন। প্রকাশিত হয়েছে তার একক গানের অ্যালবামও। বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলও হন তিনি।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দিতি। তাদের সংসারে লামিয়া ও দীপ্ত নামের দুই সন্তান রয়েছে। সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর পর চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন দিতি, কিন্তু তাদের সে বিয়ে টেকেনি। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা প্রভৃতি দিতির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এমইউ)