‘এত সুন্দর এসএমই মেলা’

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ১৯:৩১ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭, ১৯:৪৬

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস

এত সুন্দর মেলা হচ্ছে এটা এতদিন আমি জানিই না। আজ যখন সহকর্মীর  কাছে জানলাম তখন সরাসরি চলে এলাম মেলায়। এসএমই মেলার একটি স্টলের পিঠা খেতে খেতে কথাগুলো বলছিলেন বেসরকাররি স্কুলের শিক্ষিকা দিপা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ মার্চ থেকে শুরু ‘জাতীয় এসএমই মেলার শেষ দিন ছিল আজ। মেলা ‍ঘুরে দেখা যায়, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, পোশাক, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার, হ্যান্ডিক্র্যাফটস, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হারবাল পণ্য, প্লাস্টিক ও সিনথেটিকস্, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, প্রযুক্তি পণ্য, শতরঞ্জি, ডায়াবেটিক চাল ও আটা ইত্যাদি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তরা।

জারমাটস স্টলে দেখা গেল পাটের বিভিন্ন পণ্যের সমাহার। স্টলটিতে পাপোশ কিনতে দেখা গেল চাকরিজীবী হাবিবুর রহমানকে। এসময় ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, সিনথেটিকের কাপড় ব্যবহার না করে আমাদের পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

নতুনত্ব বুটিকস ও হ্যান্ডিক্র্যাফটের  মালিক  হাসিনা মুকুল ঢাকাটাইমসকে বলেন, মেলায় বরাবরের মতোই আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আমাদের স্টলে ২০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দামের পণ্য রয়েছে।

মেলায় দেখা গেল পিঠার স্টলও রয়েছে। পিঠার জগতৎ এর মালিক হাসনা হেনা ঢাকাটাইমকে বলেন, বাংলার পিঠা সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই।  এমএমই মেলায় এটাই আমার প্রথম স্টল নেওয়া। এখানে হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায় ১০ টাকা থেকে ৫০টাকার মধ্যে।

তবে স্টল মালিকরা অনেকে অভিযোগ করেছেন, এবারের মেলা তেমন প্রচার হয়নি। স্বীকৃতি একাডেমির মালিক শবনম নার্গিস বলেন, মেলা মনে হয় তেম প্রচার হয়নি। অনেক দর্শরার্থী আজ এসে বলছেন এতদিন তারা জানতেনই না মেলার কথা।

গতকাল রবিবার এই মেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের চাহিদা এবং এসএমই সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অনুরোধে মেলা একদিন বাড়ানো হয়।

এসএমই ফাউন্ডেশন পঞ্চমবারের মতো ‘জাতীয় এসএমই মেলা আয়োজন করে। ১৫ মার্চ এই মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

এ বছরে সারাদেশ থেকে ২০০টি এসএমই প্রতিষ্ঠান ২১৬টি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ‘জাতীয় এসএমই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলায় দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ অন্যান্য মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের স্বদেশি পণ্য প্রদর্শিত ও বিক্রয় হচ্ছে।

কোনো বিদেশি পণ্য মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হচ্ছে না। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে।  মেলায় কোনো প্রবেশ মূল্য নেই।

 (ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/জেআর/জেডএ)