‘দুর্ঘটনা রোধে কঠোর আইন আগামী অধিবেশনেই’
দুর্ঘটনায় কঠোর সাজার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন’ পাসের জন্য আগামী সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য আইনটি আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উঠবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা ও সচেতন করার জন্য সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই আইনটি ছিল জাতির প্রত্যাশা। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশের ৩৪ বছর পর সড়ক পরিবহন আইনটি পাস হতে যাচ্ছে।
সড়কে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্য মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ ১৪৪টি স্থানে ডিভাইডার নির্মাণ ও মেরামত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মনিরের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মানিকগঞ্জের একটি আদালত। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ পাঁচজন নিহত হন। ওই বাসের চালক ছিলেন জামির হোসেন। এ রায়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন দক্ষিণাঞ্চলের শ্রমিকরা। এর দুই দিনের মাথায় সাভারে ট্রাক চালিয়ে নারীকে ইচ্ছাকৃত হত্যার ঘটনায় চালককে ফাঁসি দেয় ঢাকার একটি আদালত। এরপর পুরোদমে আন্দোলন, বিক্ষোভে নামেন সারাদেশের শ্রমিকরা। ঢাকার গাবতলীতে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেন শ্রমিকরা। গুলিতে মারা যান এক শ্রমিক।
এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা সড়কে দুর্ঘটনার ঘটনায় কঠোর আইনের দাবি তুলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালক-শ্রমিক ও বাস মালিকদের নানা সমালোচনা করেন নাগরিকরা। ওই ঘটনার এক মাসের মাথায় আজ মন্ত্রী নতুন আইনের কথা জানালেন।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস/জেবি)
মন্তব্য করুন