জামিন জালিয়াতি: আদালতের পাঁচ কর্মচারীর ১৪ বছরের জেল
ঢাকার নিম্ন আদালতে জামিন জালিয়াতির মামলায় আদালতের পাঁচ কর্মচারীর ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দণ্ডবিধির পৃথক ছয়টি ধারায় এই দণ্ড দেন।
কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বরখাস্তকৃত বেঞ্চ সহকারী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নেজারত বিভাগের কর্মচারী শেখ মো. নাঈম, উমেদার মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. ইসমাইল। রায় ঘোষণার সময় সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে দেয়া ১৪ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় ৭ বছর এবং ৪৭১ ধারায় ৭ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। তবে ধারা দুটির সাজা একইসঙ্গে চলার কথা উল্লেখ থাকায় আসামিদের ৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করলেই চলবে বলে জানিয়েছেন মামলার বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন্নাহারের স্বাক্ষর জাল করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া জামিননামা তৈরি করে ৭৪টি মামলায় ১০৬ আসােিমক জামিনে মুক্ত করেন। ওইসব মামলায় বিচারকের জামিন আদেশ ছাড়াই আদালতের নথিতে জামিনের দরখাস্তসহ জামিননামা অর্ন্তভূক্ত করা হয়। প্রতারকচক্র শুনানি না করে বিচারকের খাস কামরায় জামিন মঞ্জুর হওয়ার মিথ্যা কথা বলে ওই ৭৪টি মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে টাকার বিনিময়ে আসামিদের জামিননামা গ্রহণ করেন। প্রতিটি মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে আসামিপক্ষের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয় তারা। ওই হিসেবে ১০৬ জনকে জামিন মুক্ত করে তারা প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ১২ জুলাই আদালতের নাজির উবায়দুল করিম আকন্দ রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/আরজে/এমআর