জেলা প্রশাসকের বিচক্ষণতায় শিশু ফিরে পেল বাবা-মাকে
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের বিচক্ষণতায় অবশেষে বিচ্ছেদ দাম্পত্য জীবনের একমাত্র কন্যাকে নিয়ে আবার স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। হারানো সংসার ফিরে পেয়েছে প্রাণ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার বিচারক মো. মাসুদুল হক চার বছরের শিশু কন্যা কবিতা আক্তার সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মা আইরিন আক্তারের নিকট নিরাপদ হেফাজতে ফিরিয়ে দিতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী কবির হোসেনকে নির্দেশ দেন। আদালতের রায়ে পিতা কবির হোসেন শিশু কন্যাকে বিচ্ছেদ স্ত্রী আইরিন আক্তারের কাছে বুঝিয়ে দিতে গেলে শিশু কবিতা তার মায়ের নিকট যেতে অসম্মতি জানায়। শিশুকন্যাকে নিয়ে বিপাকের এক পর্যায়ে উপায়ান্তরের কোন পথ খুঁজে না পেয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাসের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়।
অবশেষে জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টান্তকারী শুভ উদ্যোগের ফলে উভয় পক্ষের পরিবারের সদস্যদের বিবরণাদিসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রদেয় রায় এবং তাদের একমাত্র শিশুকন্যা কবিতার সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের বিবেচনায় পিতা-মাতার বিচ্ছেদপূর্ণ দাম্পত্য জীবন সংযোগ করে সুখী সংসার গঠনের নির্দেশ দেন।
দৃষ্টান্তকারী ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মিয়া পাড়ার আব্দুর রহিমের পুত্র কবির হোসেন বিগত ২০০৭ সনের ৩০ মার্চ পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কলাপাটুয়া গ্রামের মোন্তাজ উদ্দিনের কন্যা আইরিন আক্তারকে সামাজিক রীতি-নীতি মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় ১০ বছর সুখের দাম্পত্য জীবনে চার বছরের শিশুকন্যা কবিতা আক্তারের জন্ম হয়। কালক্রমে পারিবারিক কলহে ২০১৬ সনের ২৮ জুলাই শিশু কবিতার মা আইরিন তার স্বামী মাসুদকে তালাক প্রদান করলে উভয়ের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ ঘটলে শিশুকন্যা কবিতা জন্মদাত্রী মায়ের সাথে না যেয়ে পিতা কবির হোসেনের নিকট থেকে যায়। বিবাহ বিচ্ছেদের এক পর্যায়ে মা আইরিন তার একমাত্র শিশু কন্যাটিকে পিতার নিকট থেকে ফিরিয়ে আনতে ২০১৬ সনের ৩১ অক্টোবর নরসিংদীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা করেন। অবশেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক দীর্ঘ শুনানি শেষে ২২ মার্চ এ চূড়ান্ত রায়ে পিতা কবির হোসেনকে শিশু কবিতাকে তার মা আইরিনের নিকট বুঝিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন