চৈত্রে পৌষের শীত!
চৈত্র মাস মানেই কাঠফাটা রোদ। গরমে অস্থির হওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু এবার ঘটছে উল্টোটা। ভর চৈত্রেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হচ্ছে পৌষ মাসের মতো শীত। গত কয়েক দিন ধরে দিনে কড়া রোদ থাকলেও রাতে কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ফ্যান বন্ধ করে তো রাখতে হচ্ছেই, সঙ্গে কাঁথা-কম্বলও গায়ে জড়াতে হচ্ছে।
সাধারণ তাপমাত্রার তুলনায় এখন রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমে যাচ্ছে। যা একেবারেই অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। আর এই অসময়ের শীতে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হারুনুর রশিদ। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘পৌষ মাসে যেখানে হাড় কাঁপানো শীত পড়ার কথা ছিল সেখানে আমরা ফ্যান ছেড়ে ঘুমিয়েছি। আর এখন চৈত্র মাসে এসে ফ্যান তো বন্ধ করে রাখছিই, কোনো কোনো সময় কাঁথাও গায়ে দিতে হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এবারের পুরো প্যাটার্নটাই ভিন্ন। এখন দেশে যেভাবে রাতে ঠান্ডা পড়ছে এমন ঠান্ডা পড়ার কথা ছিল নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। আমাদের দেশে শীত আসে ইউরোপের দেশগুলো থেকে। সেখানেও নিয়ম অনুসারে কিছুটা পরে শীত এসেছে। এর প্রভাব এখন দেশে পড়েছে। এই কারণে এবার শীত দেরিতে এসেছে এবং এখনো অব্যাহত আছে।’
তবে এই ঠান্ডা আবহাওয়া দেশে আর বেশি দিন থাকবে না বলে জানালেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। ধরা যায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে সোমবার সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মূলত এই লঘুচাপের প্রভাবেই আবহাওয়ার ‘অস্বাভাবিক আচরণ’ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে দিনের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এসও/জেবি)