ভাসমান এক প্রতিবন্ধী পরিবারের গল্প

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৫:৪৮

এম লুৎফর রহমান, নরসিংদী

নরসিংদীতে এক দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভাসমান পরিবার প্রায় ১৬ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখন সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘোড়াদিয়া এলাকায় পরিবারটির বাস করছে।

একমাত্র উপার্জনকারী প্রতিবন্ধী শিশু ইয়ামিনের মা আনোয়ারা বেগম মানুষের বাসায় কাজ করে সংসারের ঘানি টানছেন। শিশুটির পিতা মো. রফিকুল ইসলাম ভূইয়াও কর্মক্ষম।

১৬ বছর আগে একই জেলার রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ খামার এলাকার পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে জীবনের তাগিদে নরসিংদী শহরে চলে আসে এই পরিবারটি। এরপর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অব্যবহৃত ভূমিতে সিমেন্টের খালি বস্তা ও পলিথিন দিয়ে অস্থায়ীভাবে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে পরিবারটি।

ছেলে ইয়ামিন ভূইয়া ১০ মাস বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। দরিদ্রতা আর অভাব-অনটনে শিশু ইয়ামিনের সুচিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হন গরিব বাবা-মা। এক সময় শিশুটি দুই পা, মস্তিস্কের বিকৃতিসহ ডান হাতের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এর পর থেকে হামাগুড়ি দিয়েই চলতে হচ্ছে ইয়ামিনকে। এখন তার বয়স প্রায় ১৬ বছর।

কর্মক্ষম ভাসমান দরিদ্র প্রতিবন্ধী শিশুটির পিতা-মাতা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সহায় সম্বল হারিয়ে আজ আমরা পথের ভিখারি। মাথা-গোঁজারও ঠাঁই নেই। মানুষের বাসায়-বাসায় আয়া-বুয়ার কাজ করে কোন রকমে জীবন পার করছি।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)