বয়স্ক ভাতা নিতে ঘুষ: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৭:৫০ | প্রকাশিত : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৭:৪৫

বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা বিতরণে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া তদন্তে শমসের আলীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে ওই ঘটনার পর চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী ছুটিতে গেছেন। গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে আগামী তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে সমাজসেবা বিভাগকে সুপারিশ করেছে। সেইসঙ্গে ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা চারজন গ্রাম পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

গত ১৯ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনয়নের ৯৭৭ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণে দুই থেকে তিনশ টাকা ঘুষ গ্রহণ নেন। যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে এ নিয়ে ঢাকাটাইমসে ‘বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা নিতে ‘ঘুষ’ (ভিডিও) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনয়নের ৯৭৭ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণে দুই থেকে তিনশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। তদন্তে গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। যার একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান যে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সমাজসেবা বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের চার সদস্য চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জরুরি মাসিক সভা ডেকে ছুটি নিয়েছেন শেখ শমসের আলী। আমাকে আগামী তিন মাসের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তার এই ছুটির আবেদন জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের করা ছুটির আবেদন হাতে পেয়েছি। এছাড়া গ্রাম পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সমাজসেবার বাগেরহাট কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের চিঠি এখনো হাতে পাইনি। পেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে গোটাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের শেখ শমসের আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :