বিমানবন্দর সড়কের গোলচত্বরে বিস্ফোরণ, নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৭, ২২:৫৪ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০১৭, ২০:১৩

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর গোলচত্বরের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বোমাটি বহন করছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম মিয়া।

ওসি জানান, গোলচত্বরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশের পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে ট্রলি ব্যাগসহ এক যুবক যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটন্স্থলেই ওই যুবক মারা যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এটি কোনো আত্মঘাতী হামলা নয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বহনকারীর অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে বোমাটি বিস্ফোরিত হয় বলে ধারণা করছেন তারা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলাকারীর মরদেহ সেখানেই পড়ে ছিল। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাথা হয়েছে।

বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন সাগর ঢাকাটাইমসে জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

বিস্ফারণস্থলে পড়ে থাকা লাশের ছবিতে দেখা যায়, আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবকের কোমরের কাছে পেটের ডান দিক বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট।

ঘটনার পর লাশটি লাল-কালো শামিয়ানা দিয়ে ঘিরে ফেলে তার সামনে অবস্থান নেন পুলিশ ও র‌্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের হলুদ ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ঘটনাস্থল।

বিস্ফোরণ ঘটনার পর রাত ৮টা ৫০ মিনিটে সেখানে যান র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বিস্ফোরণের জায়গা পরিদর্শন করে ৯টা ৬ মিনিটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

মাত্র সাত দিন আগে গত ১৭ মার্চ বিমানবন্দরের উল্টো পাশে আশকোনা এলাকায় র‌্যাবের নির্মাণাধীন সদরদপ্তরে ঢুকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় সন্দেহভাজন একজন জঙ্গি। এতে তার শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই হামলার পর ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস হামলার দায় স্বীকার করে বলে জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য দেশে আইএসের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। তারা সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার জন্য নব্য জেএমবি নামের একটি সংগঠনকে দায়ী করছে।

আশকোনার হামলার পর দেশের সব বিমানবন্দর এবং কারাগারে সতর্কতা জারি করা হয়। জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। এর সাত দিনের মাথায় মাত্র কয়েক শ গজ দূরে পুলিশ বক্সের সামনে ফের বিস্ফোরণ ঘটল। তবে এর সঙ্গে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে আরো গেছেন ডিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) শেখ নাজমুল হোসেনসহ র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এএ/ডব্লিউবি/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :