কুমিল্লায় আ.লীগে কোনো বিরোধ নেই: সীমা

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৭:৪২ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৭:৫৯

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ভোটারদের কাছে ছুটঠেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ঘুরছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করাই কঠিন। এর মধ্যেই চেষ্টা কিছুটা সময় বের করার।
শনিবার সকালে সীমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করলে কথা বলেন ব্যক্তিগত সহকারী তার বাবু। বললেন,  ‘আপা এখন কাপ্তানবাজার এলাকায় আছেন, সেখানে আসলেই আপনারা তাঁর সাথে কথা বলতে পারবেন।’ সেখানে গিয়ে দেখা যায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এক বাসা থেকে অন্য বাসায় ঢুঁ মারছেন সীমা।  প্রচারণার ফাঁকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সময় দেন ঢাকাটাইমসকে। সীমার সঙ্গে কথা বলেছেন স্টাফ রিপোর্টার তানিম আহমেদ ও প্রতিনিধি মাসুদ আলম।

ঢাকাটাইমস: কেমন সাড়া পাচ্ছেন ?
সীমা: যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই জনগণের সাড়া পাচ্ছি। এটা প্রথম দিকের তুলনায় বেড়েছে। সামনে আরো বাড়বে আশা করি। সময় কম তাই সবার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি, দোয়া নিচ্ছি।

ঢাকাটাইমস: নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কি বলবেন?
সীমা: এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোন শঙ্কা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে তা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশেই হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার দাবি ৩০ মার্চ ভোট কেন্দ্রের আশপাশে যেন বহিরাগতরা ঘুরাফেরা করতে না পারে। কারণ নির্বাচনের যে সুষ্ঠুৃ পরিবেশ রয়েছে তা বিনষ্ট করতে বিপক্ষ দল চেষ্টা করতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।
ঢাকাটাইমস: হেরে গেলে অনেক সময় প্রার্থীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন?

সীমা: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যে কোনো ফলাফল মেনে নেব। এটা নিয়ে সন্দেহের সুযোগ নেই।
ঢাকাটাইমস: বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আপনার বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের হয়রাণী ও পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন।

সীমা: আমাদের দলের কোন নেতাকর্মীরা কোন প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলায় জড়িত নন। বিএনপির এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা শুরু থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ করে আসছেন। এ সব অভিযোগের কারণে তারা যে সারা দেশের কাছে নালিশ পার্টি হিসাবে পরিচিত তার প্রমাণ হচ্ছে। তবে এরপরও যদি তাদের কোন অভিযোগ থেকে থাকে তা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিবেন, নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা যা যা করছি তা নির্বাচনের আচারণবিধি মেনেই করছি।

ঢাকাটাইমস: মেয়র হলে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে কোন বিষয়গুলো?
সীমা: কুমিল্লা মহানগরের প্রধান এবং অন্যতম সমস্যা হল যানজট এবং জলাবদ্ধতা। যারাই আমরা চেয়ারে বসি না কেন, এ দুইটাকে প্রধান্য দেয়া উচিত। যানজট এবং জলাবদ্ধতা যদি কিছুটাও লাঘব হয় নগরবাসী স্বস্তি পাবে। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে জলবদ্ধতা নিরসনই প্রথম অগ্রাধিকার। এ জন্য আমি নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বাস্তবমুখী ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব। যানজট নিরসনে জনসচেনতা বৃদ্ধি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করবো। প্রয়োজনে ফ্লাইওভার এবং ফুটওভার-ব্রিজ নির্মাণ করবো। এছাড়াও নগরীর ফুটপাতগুলো জনগণের চলাচলের উপযোগী করবো।

ঢাকাটাইমস: বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতিহার বাস্তবায়নযোগ্য মনে করেন কি?
সীমা: তিনি তো গতবার নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছেন। তার কতটুকু তিনি বাস্তবায়ন করেছেন, তা নগরবাসীই মূল্যায়ন করবেন। আর এবার যে ইশতেহার দিয়েছেন সে বিষয়ে বলবো তিনি যদি গতবারের ইশতেহার পরিপূর্ণ করতে না পারেন, তাহলে নির্বাচিত হলে এই ইশতেহার তিনি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন সেটাও নগরবাসীকে ভাবতে হবে এবং মূল্যায়ন করতে হবে।

ঢাকাটাইমস: দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কি নিরসন হয়েছেন বলে মনে করেন?
সীমা: (পাশে দাঁড়ানো কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে তাহসিন বাহারকে (সূচি) দেখিয়ে) আপনার কি মনে হয় আমাদের মধ্যে কোন কোন্দল রয়েছে। কোন্দল থাকলে সে কেন আসবে? বাহার চাচা যেহেতু সারাসরি মাঠে নামতে পারছেন না, তাই সূচি প্রচারণায় আসছেন। এখানে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। সবাই নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছেন।

ঢাকাটাইমস: ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সীমা: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।