জঙ্গিবাদ ছাড়লে জীবিকা দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৩:৪৬ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৯:১৫

জঙ্গি তৎপরতা ও সন্ত্রাস ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উগ্রবাদীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিপথ থেকে ফিরলে তাদের জীবন-জীবিকার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করবে সরকার।

৪৭ তম স্বাধীনতা দিবসে রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। একাত্তরের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতা নিয়েও কথা বলেন। এই পথে না যেতে শিশু, কিশোর ও তরুণদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিশুরা প্রত্যেকে মন দিয়ে লেখাপড়া করবে, বাবা মায়ের কথা শুনবে, অভিভাবকদের কথা শুনবে, শিক্ষকদের কথা শুনবে। আর কখনও মাদক অথবা কোনো ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সঙ্গে তোমরা সম্পৃক্ত হবে না।’

যারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে গেছে, তাদেরকে সুপথে ফিরে আসার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাদের জন্য সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা বিপথে যাচ্ছে, আমি তাদেরকে আহ্বান করবো এই বিপথ ছেড়ে তারা যেন সুৎ পথে ফিরে আসে। তাদের জীবন-জীবিকার জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের সরকার তা করবে।’

সুপথে না ফিরলে পরিণতি কী হবে, সেটিও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আত্মহননের পথ যেন তারা বেছে না নেয়, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পথ যেন তারা বেছে না নেয়, কারণ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-মাদক- এর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। এটা চলবে এবং কঠোর হাতে আমরা দমন করবো।’

বাংলাদেশে জঙ্গিদের সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম সৌহার্দের ধর্ম, ইসলাম ভাতৃত্বের ধর্ম। ইসলামে কখনও মানুষ হত্যার কথা বলেনি, বরং ইসলাম বলেছে আত্মঘাতী বা আত্মহত্যা মহাপাপ। এটা গুনাহের কাজ। যারা আত্মহনন করে, তারা কখনও জান্নাতে যায় না, জাহান্নামে যায়। তারা কখনও বেহেশতে যেতে পারে না।’

বর্তমান সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন উন্নত জীবন পায়, সৎ চরিত্র হয়, লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয় এবং আগামী দিনে বাংলাদেশকে গড়ে তুলে, সে কাজেই করে যাচ্ছি আমরা।’

শিশু কিশোরদেরকে সৎ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যেমন আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি, তেমনি আজকে যারা শিশু তাদের মধ্য থেকেই তো কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় বড় অফিসার হবে, সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী এবং দেশে-বিদেশে সব জায়গায় তারা যোগদান করবে, তারা এই দেশকে গড়ে তুলবে, এই দেশকে তারা উন্নত করবে, সমৃদ্ধশালী করবে।’

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেউ নস্যাত করতে পারবে না বলেও প্রত্যয়ের কথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাচ্ছে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিশু কিশোর সংগঠনের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত উপভোগ করেন। কুচকাওয়াজের সালামও নেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পালিয়ে আসা সেনাসহ ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাল বিজিবি

উপজেলা নির্বাচনের প্রচারে এমপি নামলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

‘মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নেমে পরিবহন চাদাঁবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়’

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছরেও ক্ষতিপূরণ পাননি, কাঁদলেন শ্রমিকরা

৬ বছরে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৬৭৪, আহত ৪৭৬৫

হজযাত্রীর ভোগান্তি হলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: ধর্মমন্ত্রী

নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলেই কাজ বন্ধ: মেয়র তাপস 

সুষ্ঠু ভোট করতে প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে ইসির বৈঠক রবিবার

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :