ব্রাজিলের মাংসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল চীন
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গরু ও মুরগির মাংসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে চীন। এসব পণ্য রপ্তানির সময় অস্বাস্থ্যকর পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল চীন।
ব্রাজিলের কৃষিমন্ত্রী ব্লারিও ম্যাজি এই ঘটনাকে খাদ্য দ্রব্যে অস্বাস্থ্যকর পদার্থ মেশানোর অভিযোগের তদন্তের ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছে।
ব্রাজিল সরকারের এক সূত্রে জানা যায়, চীনের আগে চিলি ও মিশর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
ব্রাজিলের বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাল মাংস ও পোলট্রি রপ্তানিকারক দেশ। বছরে এর পরিমাণ এক হাজার দুইশো কোটি ডলারেরও বেশি।
গত সপ্তাহে ফেডারেল পুলিশের তদন্তে ধরা পড়ে যে, ব্রাজিল প্যাকেটজাতকৃত মাংসে পচা ও অস্বাস্থ্যকর পদার্থ মিশিয়ে কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে চীন ও চিলি ব্রাজিলের ২১টি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি বন্ধ করে দেয়। চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর এক বিবৃতিতে মিশেল তেমের বলেন, ‘রপ্তানি করা পণ্যে ব্রাজিলের সুরক্ষা নীতিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ফিরে এসেছে।’
চীন ও হংকংয়ের পর ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় মাংসের ক্রেতা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত শুক্রবার ইইউ ঘোষণা দেয় যে, ব্রাজিলের প্লান্টগুলো পরীক্ষা না করে দেশটি থেকে আর কোন মাংস আমদানি করা হবে না।
ব্রাজিলের এই মাংস কেলেঙ্কারির ঘটনায় মাত্র এক সপ্তাহে দেশটিতে গড়ে শূকর ও পোলট্রির মাংস রপ্তানি ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে গরুর মাংস রপ্তানি কি পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে সেই সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/জেএস)