অধিনায়ক সাকিকে ছাড়িয়ে অধিনায়ক মাশরাফি
মাশরাফিকে অলরাউন্ডার বলা যেতেই পারে। বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু ‘ভালো’ রান করে দিয়ে যান দলের জন্য। অবশ্য মাশরাফি সাকিবের মতো অতো বড় অলরাউন্ডার নন। তবে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের চেয়ে বেশি মার্কই পাবেন মাশরাফি।
কে ভালো যা বেশি যোগ্য অধিনায়ক সেটা অবশ্য অন্য ব্যাপার, আপাতত পরিসংখ্যানে অধিনায়ক সাকিবকে পিছনে ফেলে দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি।শনিবার রাতে শ্রীলঙ্কাকে ৯০ রানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।আর এ জয়টাই সাকিবকে পিছনে ফেলে দেয় মাশরাফির।
সাকিব এখন মাশরাফির ডেপুটি, মানে সহ-অধিনায়ক। এক সময় সাকিবের অধীনে খেলেছেন মাশরাফি। নানা কারণে অধিনায়কত্ব থেকে সাকিবকে বাদ দেয় বিসিবি। তবে অধিনায়কত্বের রেকর্ড নেহাত খারাপ নয় সাকিবের।
৪৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে সাকিব দলকে জিতেন ২৩ বার। এতদিন ২৩টি জয় নিয়ে সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন মাশরাফি। শনিবারের জয়ে সাকিবকে টপকে গেলেন মাশরাফি। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে জিতেছে ২৪টি। তবে সাকিবের চেয়ে অনেক কম ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে মাশরাফিকে। মাশরাফির ২৪ জয় আসে ৩৮ ম্যাচে।
মোট জয়ের হিসেবে এখনও বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতে ২৯ ওয়ানডে। তবে তুলনামূলক বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন সুমন। ৫৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ২৯ জয় পায় হাবিবুল বাশার সুমনের বাংলাদেশ।
তবে ম্যাচ ও জয়ের আনুপাতিক হারে দেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফিই। সংখ্যায় আপাতত সুমন এগিয়ে থাকলেও তাকে টপকাতে বেশি সময় লাগবে না মাশরাফির। আর মাত্র ৬টি জয় হলেই সবার উপরে বসবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/ডিএইচ)