‘অবমূল্যায়ন’: মির্জাপুরের ইউএনওকে বদলির দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৭:২১ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৬:৪২

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের বদলির দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে এই সরকারি কর্মকর্তা পুরো বিষয়টিকেই ভুল বোঝাবুঝি বলেছেন।

রবিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে উপজেলা সদরের এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

মির্জাপুর উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন করা হয় এই স্কুল প্রাঙ্গণে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সদরের এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকালে কুরআন তেলওয়াত, গীতাপাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন না করেই সকাল পৌনে আটটায় প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ঘোষণা ছাড়াই পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম মনিরসহ অভিবাদন মঞ্চে উঠে পড়েন। আর প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের গার্ড অব অনার দেয়া শুরু হয়।

মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জন্য নির্ধারিত স্থান সংরক্ষণ না করা ও অভিবাদন মঞ্চে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসকে না রাখায় তারা অপমান বোধ করেন। পরে তারা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মাঠ থেকে একযুগে বের হয়ে আসেন।

এরপর মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ এনে মিছিল শুরু করেন। পরে মির্জাপুর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা সমাবেশের করেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে একটি করে ছাতা উপহার দেয়া হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ না করলে এদেশ স্বাধীন হতো না। আর দেশ স্বাধীন না হলে আজকে যারা ইউএনও এসিল্যান্ড হয়েছেন তারা তা হতে পারতেন না।’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে-এমন অভিযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউএনও ইসরাত সাদমীনের বদলি দাবি করেন তিনি।

তবে ইউএনও ইসরাত সাদমীন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জানিয়ে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তারা (মুক্তিযোদ্ধা) আমার বাবার মত। তাদের অবমূল্যায়নের কথা চিন্তা করা যায় না।’

মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘তাদেরকে বরণ করতে সাড়ে চারশ ফুল কেনা হয়েছে। বিকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধিত করার আয়োজনের ঘোষণা আছে।’

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের যে অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে, সেখানে অভিবাদন মঞ্চে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নাম রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :