হাতিরঝিলে নৌকাবাইচ, খুশি নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৯:১১ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৯:০৯

দেশের ৪৬তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য এ নৌকাবাইচে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৫টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। পুরুষ ও মহিলা দুইটি বিভাগে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশন প্রতিবারের মতো এবারও এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

ঝিলের দুই পার থেকে হাজার হাজার দর্শক এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। নগরবাসীর জন্য এই নৌকাবাইচ স্বাধীনতা দিবসে বাড়তি আনন্দ যোগ করে।

অংশগ্রহণকারী পুরুষ দলগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিউ গাজী রোইং ক্লাব এবং দ্বিতীয় হয় নিউ ইয়ং স্টার রোইং ক্লাব। আর তৃতীয় হয় ইউনির্ভাসেল রোইং ক্লাব।

অপরদিকে মহিলা দলগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে শুভাড্ডা রোইং ক্লাব, দ্বিতীয় নর্থ বেঙ্গল রোইং ক্লাব এবং আলীনগর রোইং ক্লাব তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

এছাড়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মাঝি মাল্লা সমিতি, শাহীনবাগ রোইং ক্লাব, সৃজনী রোইং ক্লাব, উত্তরা রোইং ক্লাব, বরিশাল রোইং ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ রোইং ক্লাব, উত্তরখান রোইং ক্লাব ও টঙ্গী রোইং ক্লাব।

প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে পুরস্কার করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন্দ্র শিকদার। তিনি বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো অজানা দেশ নয়। বাংলাদেশ ক্রীড়াসহ সব সেক্টরে অনেক এগিয়েছে।

সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে বীরেন শিকদার বলেন, দেশে বর্তমানে সামান্য কয়েকজন জঙ্গি বৃথা আস্ফালন করছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমনি পরাজিত করা হয়েছে তেমনি এদের পরাজিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তার জাদুকরি নেতৃত্বে আমরা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবো।

নৌকাবাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ মহান স্বাধীনতা দিবসে হাতিরঝিলে ভিন্নধর্মী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে রাজধানীবাসীকে আনন্দ দেয়ার জন্য রোইং ক্লাবকে ধন্যবাদ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ রোইং ফেডারশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ ঢাকা রোইং ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তেজগাঁও থেকে স্ত্রী ও সন্তানসহ হাতিরঝিলে এসেছেন আবু রাসেল। তিনি বলেন, গ্রামে নৌকাবাইচ দেখেছি। ঢাকায় আসার পর এটি ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু হাতিরঝিলে এর আয়োজন করে সেই পুরনো স্মৃতিকে উজ্জীবিত করেছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ এখানে নৌকাবাইচ দেখে খুব ভালো লাগলো।

মধুবাগ থেকে তার ছেলেকে নিয়ে নৌকাবাইচ দেখতে এসেছেন শিপন আহমেদ। তিনি বলেন, ছেলেকে নৌকাবাইচ দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি শেষ হয়ে গেছে। আয়োজন করলে ভালোভাবে আয়োজন করা উচিত।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :