অষ্টম শ্রেণি পাস ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৬:৩২ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০১৭, ১৪:৩০

গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭’ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।আগের আইনে চালক বা তার সহকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা ছিল না।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল ইসলাম এই তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘শাস্তি বাড়িয়ে আইনটি করা হয়েছে। এই আইনের ৪০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়। একইসঙ্গে চালকের সহকারী ও কন্ডাক্টারের লাইসেন্স থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর চালকের সহকারীর যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে তাকে লিখতে ও পড়তে পারতে হবে অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে। চালকের সহকারী বা কন্ডাক্টারের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

শফিউল ইসলাম বলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলেন, সেজন্য পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হবে। মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা আগের মতো আছে। ১৮ বছরের আগে কেউ লাইসেন্স পাবে না।’

আইনে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী আসনে বসতে না দিয়ে কেউ ওই আসনে বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মোবাইলে কথা বললে চালকের এক মাসের জেল

গাড়ি চালানো অবস্থায় কোনও চালক মোবাইল ফোন বা এরূপ কোনও ডিভাইস ব্যবহার করলে তার এক মাসের জেল বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এছাড়া বেপরোয়া গাড়ি চালালে দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করলেও একই শস্তির বিধান রাখা হয়। তবে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড

নেশা জাতীয় দ্রব্য বা মদ পান করে কেউ গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে তিন মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে এই আইনে।

শফিউল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নিহতের ঘটনা ঘটলে দণ্ডবিধির আওতায় বিচার হবে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দণ্ডবিধিতে। এছাড়াও আমলযোগ্য অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় আটক করতে পারবে বলেও বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বেশি সাজা হলে সেটি জামিন অযোগ্য ধারা হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে অপরাধীকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অতিরিক্ত ওজন বহনে মালিক ও চালকের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পাঁচ টনের ট্রাক যদি ১৫ টন ওজন বহন করে সে ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন চালক ও মালিক।

জাল লাইসেন্স ব্যবহার করলে চালক ও তার সহকারীর দুই বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

শফিউল ইসলাম জানান, চালক ও তার সহকারী দুজনেরই হেলমেট থাকতে হবে। গাড়ির সামনে ও পেছনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে কোনো কিছু বহন করা যাবে না। চলন্ত অবস্থায় যাত্রী ওঠানামা করানো যাবে না। সাইড করে গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। উল্টো পথে বা রং সাইট দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। প্রস্তাবিত আইনে এসব ক্ষেত্রেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের ৪৫ ধারায় এ ধরনের ২৫টি নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অংশে ১৪টি এবং অপর অংশে ১১টি নির্দেশনা রয়েছে। প্রথম অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে এক মাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

প্রথম ১৪টির মধ্যে রয়েছে মদ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালানো, শ্রমিকদের গাড়ি চালানো, বিপরীত দিক থেকে গাড়ি চালানো, রঙ সাইটে মোটরযান রেখে যানজট সৃষ্টি, চলন্ত অবস্থায় যাত্রী নামানো উঠানো, প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূল সুযোগ সুবিধা রাখা, ফুটপথের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানো ইত্যাদি।

দ্বিতীয় অংশের ১১টির মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, সিটবেল্ট না বাঁধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের বসার ব্যবস্থা না রাখা ইত্যাদি।

বর্তমানে পরিবহন আইন চলছে ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী। আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১১ সালে। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার কারণে কারও মৃত্যু হলে যে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, সে বিষয়ে আপত্তি আসে পরিবহন নেতাদের পক্ষ থেকে। বরাবরই তারা বলে আসছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো চালক দুর্ঘটনা ঘটান না। এ নিয়ে বছরের পর বছর চলে বৈঠক আর খসড়ার কাটাছেঁড়া। অবশেষে আইনটির খসড়া প্রণয়ন করে তা মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হল।

প্রস্তাবিত আইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট প্রদান ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে। পরিবারপ্রতি গাড়ি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা বলা হয়েছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে চালক কিংবা দায়ী ব্যক্তির শাস্তি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ-সংক্রান্ত অপরাধসমূহ দণ্ডবিধি ১৮৬০ অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিষয়টিতে পেনাল কোডে উল্লেখ থাকায় মোটরযান আইনে তা রাখা হয়নি। ‘মেজর’ আইনে উল্লেখ থাকলে ‘মাইনর’ আইনে তা বলার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন মেয়াদে পেনাল কোডে ওই ধারায় শাস্তির বিবরণ রয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৭২টি ধারা এবং অপরাধ ও দণ্ডসম্পর্কিত একটি তফসিল রাখা হয়েছে; বর্তমান মোটরযান অধ্যাদেশে আছে ১৭৭টি ধারা ও ১২টি তফসিল। প্রস্তাবিত আইনের অধ্যায়গুলো হচ্ছে এক. প্রারম্ভিক; দুই. মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স; তিন. কন্ডাক্টর লাইসেন্স; চার. মোটরযান রেজিস্ট্রেশন; পাঁচ. পরিবহন যানের রুট পারমিট; ছয়. মোটরযানের নির্মাণ, সরঞ্জাম বিন্যাস ও রক্ষণাবেক্ষণ; সাত. ট্রাফিক ও ওজনসীমার নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ দূষণ; আট. মোটরযানের বীমা; নয়. মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল, মোটরযান মেরামত কারখানা, ডাম্পিং ইয়ার্ড ইত্যাদি; দশ. অপরাধ ও দণ্ড; এগারো. আপিল; বারো. কার্যপদ্ধতি এবং তেরো. বিবিধ।

এর আগে সড়ক পরিবহন ও ট্রাফিক আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয় ২০১১ সালে। খসড়ায় বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়। সুধীসমাজের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় দায়ী চালকের বিরুদ্ধে শাস্তি বাড়ানো এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছিল। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এর পর খসড়া থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য ২০১৩ সালে কমিটি গঠন করে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। তাদের সুপারিশেও আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়। তবে শাস্তি কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনাকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে সর্বশেষ প্রণীত খসড়ায় ২০১১ ও ২০১৩ সালের সব ধরনের সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে। যদিও প্রস্তাবিত আইনে পরিবহন খাতে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

সম্প্রতি দুর্ঘটনার দুটি মামলায় দুই চালকের বিরুদ্ধে দেয়া সাজার রায়ের প্রতিবাদে সারা দেশে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হলে টানা দুদিন ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

এর পর ১ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে নৌমন্ত্রী শাজাহান বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দুটি পৃথক মামলায় একজন চালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপরজনের ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর পরিবহন শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এবং এ কারণে কর্মবিরতিতে যান। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ফাঁসি বা যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার আশঙ্কায় পরিবহন শ্রমিকরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তবে তিনি আশা করছেন তার আহ্বানে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতির অবসান ঘটিয়ে যান চলাচল শুরু করবেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং যান চলাচল শুরু করে পরিবহন শ্রমিকরা।

আরও দুইটি আইনের অনুমোদন

এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১৭ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে সংস্থার প্রধান ছিল মহাপরিচালক। কিন্তু ইউনেস্কোর বিধান মতে পদটি পরিচালক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিধানের সাথে সমন্বয় করে এটি করা হয়েছে। এছাড়া আগে গভর্নিং বডি ছিল ২২ জনের। এটাকে কমিয়ে ছয় জন করা হয়েছে। তবে বড় পরিসরে কার্যনির্বাহী কমিটি ২২ জনই রাখা হয়েছে।

মৎস্য গবেষণা আইনের খসড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন আগের আইনটি বাংলা করা হয়েছে। নতুন চারটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এছাড়া মন্ত্রিসভায় দুটি বিষয় অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এমএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

চার বিভাগে নতুন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগেই, ছুটি সরকারি ছুটির চেয়ে কম নয়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :