বাগেরহাটে ট্রলারডুবি, চার নারীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পানগুছি নদীতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। স্থানীয়রা নদী থেকে অন্তত ৩০ জনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

ট্রলারটি যাত্রী নিয়ে উপজেলার ছোলুমবাড়ি খেয়াঘাট থেকে পুরাতন থানাঘাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ, দমকল বিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

উদ্ধার হওয়া চার নারীর প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিউটি (৩৮), পেয়ারা (৫০), সুফিয়া (৭৫) ও নাদিরা (৪৪)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম চার নারীর লাশ উদ্ধারের সংবাদ নিশ্চিত করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে এক নারী ও এক শিশুকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর এক নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রলারডুবির কারণ বা নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

ঘটনার প্রতক্ষদর্শী একাধিক ব্যাক্তি জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ছোলমবাড়ি খেয়াঘাট থেকে থানাঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সাড়ে দশটার দিকে ট্রলারটি থানাঘাটের কাছাকাছি আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির নৌযানের ঢেউয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ট্রলারডুবির সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা যাবে না। উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস ঢাকাটাইমসকে জানান, ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যে ওই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিকে কার গাফলতিতে কিভাবে ট্রলারটি ডুবল তা তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ডিসি জানান, এই কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

ডিসি আরও বলেন, ট্রলারডুবিতে এখনো অন্তত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা দাবি করছেন। তাদের উদ্ধারে পুলিশ, দমকল বিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সাথে নিয়ে নদীতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)