কার্ড জটিলতায় খুলছে না ঢাবি গ্রন্থাগারের মূল ফটক

সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০১৭, ১২:০৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে নির্মাণ করা হয়েছে ডিজিটাল গেইট। যেখানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড পান্স করে প্রবেশ করতে হবে। গেল বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে এর কাজ শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় ডিসেম্বরে। তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রন্থাগারের মূল ফটক চালুর বিষয়টি কার্ড জটিলতায় আটকে আছে। কবে নাগাদ এটি চালু করা হবে সেটির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।

মূল ফটক নির্মাণের কাজ শুরু করার সময় গ্রন্থাগারের পূর্বপার্শ্বে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য বিকল্প গেইট চালু করা হয়। তবে এর আকার ছোট হওয়ায় শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে প্রবেশে বেশি সময় লাগছে। পাশাপাশি তাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দ্রুত মূল ফটক খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মূল ফটকটি বন্ধ থাকার কারণে আমাদের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার জন্য অনেক লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। কারণ লাইব্রেরির পেছনের গেইটি মূল গেইটের তুলনায় ছোট, গেইটটি দিয়ে একজনের বেশি প্রবেশ করা সম্ভব না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. এস. এম. জাবেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলতি বছর থেকে শিক্ষার্থীদের নতুন স্মাট কার্ড দেয়া হবে। যেটা দিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সব কাজ করতে পারবে। এইরকম কোনো স্মাট কার্ড এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিত না। যার ফলে এসব স্মাট কার্ড তৈরির জন্য সময় লাগছে। আর ডিজিটাল গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে স্মাট কার্ড প্রয়োজন হবে।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সময় লাগছে জানিয়ে ঢাবি গ্রন্থাগারিক বলেন, এইবার প্রথমবারের মতো স্মাট কার্ড পাবেন প্রথম বর্ষের শিক্ষাথীরা। আর দ্বিতীয় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মাট কার্ডের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রায় ২৫ হাজার নতুন কার্ড কিনে আনা হয়েছে। এতগুলো কার্ড প্রিন্ট করতে সময় লাগবে । তাছাড়াও গ্রন্থাগারের যে কার্ড প্রিন্টার মেশিন আছে সেটা দিয়ে এই মানের স্মাট কার্ড তৈরি করা সম্ভব নয়, যার ফলে গেইটের কাজ সমাপ্ত হলে ও আমরা গেইটটা খুলতে পারছি না। দেশের বাইরে থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আধুনিক একটা স্মাট কার্ড তৈরি করে শিক্ষার্থীর হাতে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাবির গ্রন্থাগারের মূল ফটকের আধুনিকায়ন ও লাইব্রেরিতে সি সি ক্যামেরা ও ফায়ার এলারমিং স্থাপনসহ সাইন্স লাইব্রেরি গেইটের আধুনিকায়ন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :