প্রশ্নপত্র জালিয়াতিতে জড়িত তিন স্তরের লোক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৫:৫০ | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৩:২০

প্রশ্নপত্র জালিয়াত চক্রের সঙ্গে তিন স্তরের লোকজন জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি, বিজি প্রেস এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের লোকজন রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নেয়ার সময় ভুয়া প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতো এই চক্রটি।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার নয়জন সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাতরাস্তা মোড় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের চার শিক্ষক, চার ছাত্র এবং এক অফিস সহকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের একটি টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার গাজীরচর এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফ হোসেন, টঙ্গী কেনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মো. আতকুল ইসলাম, একই কলেজের অফিস সকারী আবদুল মজিদ, ছাত্র আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদু ভাই, সাঈদুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন এবং তানভীর হোসেন।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইটের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৬ সালের জেএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র, গণিত, ইংরেজি, কৃষিশিক্ষা, চারু ও চারুকলা, এইচএসসির উচ্চতর গণিত প্রথম পত্র, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ২০১৭ সালের বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র, গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, বিভিন্ন বিষয়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নফাঁসের গুজব সম্বলিত স্ক্রিনশর্ট এবং নয়টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, এই চক্রটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র এমসিকিউ স্ক্রিনশর্ট নিয়ে গণিত শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে দিতেন। তিনি দ্রুত ওই গোপন লিংকে ছেড়ে দিতেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বলেন, ওই লিঙ্ক প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ব্যবহার করত। তারা অ্যাডমিনদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ওই লিঙ্ক ব্যবহারকারীরা পাঁচশ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশে পরিশোধ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপকমিশনার নাজমুল আলম, পূর্ব বিভাগের উপকমিশনার খোন্দকার নুরুননবী, পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান এবং জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :