সহনশীল সমাজ গড়তে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি: আসাদুজ্জামান নূর

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সহনশীল সমাজ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। মানবিক, মুক্তমনা এবং সহনশীল সমাজ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি।

মঙ্গলবার সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব’ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন ।

মন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কৃতি চর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মাঝে শূন্যতা থাকলেও তা আবার নতুন উদ্যোমে উজ্জীবিত হয়েছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরান ঢাকাকেই বুঝানো হত। পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন কারণে পুরান ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। ’

সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া। এসময় পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীকে সম্মাননা পদক দেয়া হয়।

প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী শাহিন সামাদ, রবন্দ্রীসংগীত শিল্পী শামা রহমান, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও লোক সংগীত শিল্পী সফি মন্ডল। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন শিল্পী এবং চীন হতে আগত পাঁচ জন শিল্পী গান পরিবেশন করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্ববোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশনা করে ।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে বুধবার রয়েছে অতিথিদের বক্তব্য, উচ্চাঙ্গ সংগীত- অষ্টকল্যাণ রাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনা, আমন্ত্রিত শিল্পী- সুবীর নন্দী, সাদি মহম্মদ, লাইসা আহমদ লিসা, চন্দনা মজুমদার ও ভারতের ড. সভ্যসাচী সারখেইল।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)