আতিয়া মহল পুলিশের কাছে হস্তান্তর

সিলেট প্রতিনিধি
| আপডেট : ২৮ মার্চ ২০১৭, ২৩:২৯ | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০১৭, ২০:৫৩

সিলেটের শিববাড়ীর আতিয়া মহল নামের বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন টুয়াইলাইট’ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী। বাড়িটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনা সদস্যরা ক্যান্টনমেন্টে ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে অপারেশন সমাপ্ত করে বাড়িটি পুলিশের কাছে ন্যাস্ত করা হয়। এ সময় বাড়ির ভেতরে দুই জঙ্গিল লাশ ছিল।

এরপর মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অপারেশন সমাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

আতিয়া মহল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়ে ফখরুল আহসান বলেন, সেনাবাহিনীর কাজ ছিল অভিযান পরিচালনা করা। সেটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থা আছে, তারা অন্যান তদন্তসহ অন্য কাজগুলো করবে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে শিববাড়ির পাঠানপাড়ার ওই ভবন ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। পরে ঢাকা থেকে গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সোয়াট। তারা এ অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন স্প্রিং রেইন’। কিন্তু পরে আর অভিযানে নামেনি তারা। সেখানো ডাকা হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোকে।

ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ দল সোয়াট ঘটনাস্থলে গেলেও অভিযান পরিচালনা না করার বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনালের বলেন, ভেতরে যেসব জঙ্গি ছিল তারা খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষিত। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল। এবং সেগুলো ব্যবহার করে তারা পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল। পাঁচতলা ভবনটির ৩০টি ফ্ল্যাটে প্রায় দেড়শর বেশি রুম রয়েছে। এখানে কোথায় কোন অবস্থায় কীভাবে লুকিয়ে আছে প্রতিটা স্টেপ ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য বারবার বলেছি অপারেশনটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটা বাহিনীর নিজস্ব কৌশল আছে। বিভিন্ন অপারেশনের ভিন্ন ভিন্ন ধাপ আছে। কোন পর্যায়ে কোন বাহিনীর কারা কাজ করবে সেগুলো একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দেশব্যাপী অনেক সফল অভিযান পরিচালনা করছেন উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, ‘১৫ মার্চ তারা (পুলিশ) সীতাকুণ্ডে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে এখানে এসে যে অবস্থাটা দেখেছেন সেখানে তাদের বিবেচনায় মনে হয়েছে তাদের যে এক্সপার্টিজ আছে তা থেকে সেনাবাহিনীর এক্সপার্টিজ ব্যবহার করলে আরও সফলভাবে অপারেশনটা পরিচালনা করা যাবে। বিশেষ করে যে ৭৮ জন বাসিন্দা পুরো ভবনে ছিলেন, তাদের নিরাপত্তা বিবেচনা এবং তাদের নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনা ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।’

ফখরুল আহসান বলেন, ‘যার দরুন এখানে অনেক সতর্কতার সঙ্গে এবং বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করে অপারেশনটা পরিচালনা করতে হয়েছে। তাই আলটিমেটলি সেনাবাহিনীকে সংযুক্ত করতে হয়েছে।’

শনিবার সকালে অভিযানে নামে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা। এই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ নামের অভিযানটি।

চার দিন ধরে চলা অভিযানে দ্বিতীয় দিন সেনাবাহিনী জানায়, ভবনের ভেতরে দুই জঙ্গি মারা গেছে। ভেতরে আরো দু-এক জন থাকতে পারে। এরপর গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

আজ দুপুরেও চারটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় আশপাশ।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/জেডএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :