ভোটে জিততে সাক্কু-সীমার যত চিন্তা

বোরহান উদ্দিন ও তানিম আহমেদ,কুমিল্লা থেকে ফিরে
| আপডেট : ২৯ মার্চ ২০১৭, ১০:১৩ | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০১৭, ০৮:১৭

রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এত দিন মাঠ চষে বেড়িয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। জনগণের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশার বিষয়গুলো সামনে এনে এর সমাধানের কথা বলেছেন প্রার্থীরা। এর বাইরেও ব্শে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা গেছে, যেসব বিষয় জয়-পরাজয়ের মূল কারণ হবে।

গত কয়েক দিন কুমিল্লায় সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় জানা গেছে। দৃশ্যমান বিষয়গুলোর বাইরেও বেশ কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে যা সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে মেয়র পদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু ও আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে। এসব বিষয় নিয়ে হিসাব কষছেন প্রার্থী ছাড়াও দুই দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

কুমিল্লার ভোটাররা সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর মনে করেন জলবদ্ধতা ও শহরজুড়ে যানজটকে। অন্য বিষয়গুলো হলো- সংখ্যালঘু ভোটার, নারী ভোটার, নতুন ভোটার, আঞ্চলিক ভোটার, দুই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জামায়াত। এ বিষয়গুলোতে যার অবস্থান ভালো হবে তার জয়ের সম্ভাবনা বেশি মনে করেন এখানকার মানুষ।

জলাবদ্ধতা

ভারী বৃষ্টি হলেই কুমিল্লার অনেক রাস্তায় ড্রেনের পানি উপচে ওঠে সড়কে। বলা হয়ে থাকে, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পানি নিষ্কাশনে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সঙ্গে নিয়ে বসবাস করলেও সমস্যার সমাধান খুব বেশি হয়নি।

তবে সাবেক মেয়রের দাবি, নিজ হাতে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের কাজ তদারক করেছেন তিনি। কিন্তু মূল সমস্যা হলো গোমতি নদী। যে কারণে শহরের একপাশ থেকে পানি বের হলেও অন্যপাশ থেকে পানি বের হওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য জলবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তবে আবার নির্বাচিত হলে মাস্টার প্লান করে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাও জলবদ্ধতা সমাধানের বিষয় সামনে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই সমস্যার সমাধানে তিনিও মাস্টারপ্লান করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে জলবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব ও কার‌্যকর পদক্ষেপ নিবেন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী মনির হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান দিতে কা‌্যাকর পদক্ষেপ যিনি নিতে পারবেন তাকেই কুমিল্লার মানুষ ভোট দেবে। শুধু আশ্বাসে এবার মেয়র হওয়া সম্ভব হবে না।’

শহরজুড়ে যানজট

শহরের বেশির ভাগ সড়কই বেশ সরু। আবার ফুটপাত হকারদের দখলে। আর গোটা শহর রিকশা, সিএনজি ও অটোরিকশার দখলে। আছে ব্যাটারিচালিত রিকশাও। এসব সিএনজি ও অটোর স্ট্যান্ড হলো মূল সড়কের ওপর। মূলকথা হলো শহরে বৈধ যানের চেয়ে অবৈধ যানই বেশি। কারণ বর্তমানে ১০ হাজার ৫৩০টি লাইসেন্সের বিপরীতে রিকশা চলে অন্তত ৩০ হাজার। ইজিবাইক চলে অন্তত ২৫ হাজার। এ কারণে শহরের কান্দিরপাড়, বাদড়তলা, রাজগঞ্জ, চকবাজার, টমছমব্রিজ, শাসনগাছা এলাকায় দিনভর যানজট লেগেই থাকে। এতে মানুষের কর্মঘণ্টা যেমন নষ্ট হয়, তেমনি দোকানের সামনে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে থাকায় ব্যবসায় ক্ষতি হয় বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের।

সিটি করপোরেশনে মোট ছয়টি ট্রাফিক পয়েন্ট। এসব পয়েন্টে ট্রাফিক সদস্যদের যানজট নিরসনে সদা তৎপর থেকেও হিমশিম খেতে হয়।

টাউন হলের উল্টো দিকে কাপড়ের দোকানি মশিউর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়তে থাকে।এর সমাধান না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা যানজটের হাত থেকে বাঁচতে চাই।’

মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হলে যানজটের হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মনিরুল হক সাক্কু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সিএনজি মালিকদের সঙ্গে বসে কীভাবে একটা শৃঙ্খলায় আনা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিব।’

৫৫ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার

সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। প্রচলিত আছে, সংখ্যালঘু ভোটাররা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। যে কারণে এই ভোটগুলো নিয়ে চিন্তায় থাকে বিএনপি। নির্বাচনে ব্যবধান তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে সংখ্যালঘু ভোট। তবে কুমিল্লার চিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম। কুমিল্লার আলোচিত শংকর হত্যার ঘটনায় সীমার পরিবার জড়িত থাকার অভিযোগে এখনো তাদের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষোভ রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

যে কারণে শুরু থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় প্রতিদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারাও হিন্দু ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তবে জানা গেছে, কুমিল্লার হিন্দুদের একটি অংশ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। আবার হিন্দুদের সঙ্গে মেয়র সাক্কুর ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের বিপদে মেয়রকে পাশে পাওয়া যেত বলে দাবি করছেন অনেকে।

কুমিল্লা শহরের একজন প্রবীণ হিন্দু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শংকর হত্যার ঘটনা এখনো আমাদের মনে দাগ কেটে আছে। যাদের ‍বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পরিবার থেকে মেয়র হলে এই কষ্ট আরো বাড়বে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা আমাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন কথাবার্তা বলেছেন।’

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনকে তৎপর দেখা গেছে।

ব্যবধান গড়বে নারী ভোটাররা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ৮ হাজার। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার দুই হাজার বেশি। বলা হচ্ছে, ব্যবসা ও প্রবাসে থাকার কারণে অনেক পরিবারে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি থাকে। যে কারণে পুরুষ ভোটারদের একটি অংশ ভোট দিতে পারবেন না। এছাড়া নির্বাচনে নারী ভোটারদের ভোট দেয়ার প্রবণতাও বেশি লক্ষ্ করা যায়। এ কারণে এই নির্বাচনে নারী ভোটাররা জয়ের ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টরে পরিণত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, নারী প্রার্থী দেয়ায় বেশি নারী ভোট সীমার পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সীমা ৮০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নারী ভোটারদের কাছে টানতে শুরু থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নারী নেত্রীদের প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।

যদিও বিএনপি নেতারা এমন যুক্তি মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, কুমিল্লার নারীরা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি সচেতন। প্রার্থী নারী বলে নারীদের ভোট পাবেন এটা ঠিক নয়। তবে নারী ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে সাক্কু-সীমা দুজনকেই ব্যস্ত ছিলেন।

কুমিল্লা মহিলা কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সীমা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নারীদের জন্য নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে পারবেন এমন একজনকে আমরা মেয়র নির্বাচিত করবো।এখানে ব্যক্তি বা প্রতীক বড় বিষয় নয়।’

নতুন ভোটার ৩৮ হাজার

সিটি নির্বাচনে ব্যবধান গড়তে আরো বড় ভূমিকা রাখবে নতুন ৩৮ হাজার ২৮৭ জন ভোটার, যারা এবারই নগরপিতা নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন। নতুন একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বললে তারা দলীয় পরিচয় নয়,ব্যক্তি ইমেজ,যোগ্যতা বিচার করে ভোট দেবেন।তারপরও বিকল্প প্রার্থী না থাকায় মেয়র পদে প্রধান দুই দলের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোট যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুশফিকের মতে,যত প্রতিশ্রুতিও দেয়া হোক তরুণরা যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নিবে।

সীমার অস্বস্তি বাহার-আফজাল দ্বন্দ্ব

কুমিল্লা নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা নিয়ে যত না আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশি আলোচনা স্থানীয় এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন বাহার ও আফজল খানের দ্বন্দ্ব নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই আওয়ামী লীগ নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য খবর।

যে কারণে বাহারকে ডেকে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়াও বিরোধ মেটাতে শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লায় বসে দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন,কথা বলেছেন। এতে বিরোধ কিছুটা মিটেছে বলে দাবি করছে আওয়ামী লীগ।

যার প্রমাণ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাও দেখা গেছে। কারণ দুই নেতার কর্মী সমর্থকরা নৌকার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। তবে,ভোটে এ ঐক্য কতটুকু প্রভাব পড়ে সেটা দেখার বিষয় বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন,কুমিল্লার দুই নেতারা দ্বন্দ্ব সারা দেশেই আলোচিত বিষয়। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বাহার পন্থীরা প্রচারে আছেন ঠিকই কিন্তু ভোটের ফলাফলেই বুঝা যাবে তারা কতটুকু দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

এদিকে বাহারের ঘনিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৮টি ওয়ার্ডে তার সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে। মেয়রের আগে কাউন্সিলর প্রাথীদের জয়ী করার ব্যাপারেই তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।

অস্বস্তি আছে সাক্কুরও

বাহার-আফজাল দ্বন্দ্বে সীমা যেমন স্বস্তিতে নেই, তেমনি সাক্কুও অস্বস্তিতে আছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল হক চৌধুরী তার নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনায়। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছেন। অন্যদিকে সাক্কুর সঙ্গে বিএনপি নেতা আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের পুরানো দ্বন্দ্ব নিয়েও নানা আলাপ আলোচনা হচ্ছে। যদিও সাক্কু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কুমিল্লা বিএনপিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ২০১৪ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশের পর দ্বন্দ্ব কেটে গেছে।’

আঞ্চলিক ভোটার

জানা গেছে,কুমিল্লায় চাঁদপুর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,নোয়াখালী, ফেনী ও লহ্মীপুরের ভোটাররাও নির্বাচনে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার আঞ্চলিক ভোটার রয়েছে। এজন্য প্রধান দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাধ্যমে এসব ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেছেন।

জামায়াত-হেফাজতের ভোট

কুমিল্লায় ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ও হেফাজত ইসলামের ভোট কিছুটা হলেও ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ দুই দলের প্রায় ২০ হাজারের মতো ভোট আছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদের সমর্থন স্বাভাবিকভাবে সাক্কুর পক্ষে যাবে এমনটা মনে হলেও শেষ পর‌্যন্ত কী হবে তা দেখতে ভোটের দিন পর‌্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

প্রতিবেদন তৈরীতে সহযোগিতা করেছেন ঢাকাটাইমসের কুমিল্লা প্রতিনিধি মাসুদ আলম।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী 

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

আজ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আওয়ামী লীগ নিজেদের নৌকা নিজেরাই ডুবিয়েছে: মঈন খান

দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না: সালাম

নির্বাচনের পর বিরোধী দলগুলোর ওপর নানা কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল

বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী জনগণকে সরকার বন্দি করে রেখেছে: রিজভী 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আ.লীগের ‘মানা’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :