সরকারি ওষুধ পাচার, দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০১৭, ১২:৫৮

নেত্রকোণা জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রির জন্য পাচারের সময় দুই জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাদের হাতেনাতে ধরা হয়। বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের আব্দুল মোতালেব ও ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে ফজর আলী শহরের কাটলি এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া করে থাকেন।

জেলা গোয়েন্দা পুরিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক শরিফুল হক জানান, গোপন সংবাদে পুলিশ মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শহরের কাটলি এলাকায় মোতালিবের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তিনি একটি প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী ওষুধ শ্যামগঞ্জ বাজারে পাচারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে আরো কিছু ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতো পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দাবি করেন, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওষুধাগারের স্টোরকিপার মো. মশিউর রহমান ও পূর্বধলা হাসপাতালের স্টোরকিপার মো. আবুল কালামের যোগসাজশে তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ওষুধ পাচার করছে। এরপর তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওষুধের দোকানে এগুলো বিক্রি হয়। আবার বেশি ওষুধ হলে ঢাকায় পাঠিয়ে মেশিনের সাহায্যে সরকারি দেয়া সিল তুলে ফেলা হয়।

জব্দ করা ওষুধগুলোর মধ্যে দুই হাজার পিস সিপ্রোসিন ৫০০মি.গ্রা, আড়াই হাজার এজিথ্রোমাইসিন, সাড়ে তিন হাজার এমোকসিলিন ও সাড়ে তিন হাজার পেন্টোপ্রাজল রয়েছে। এগুলোর দাম প্রায় দুই লাখ টাকার মতো হবে বলে পুলিশের ধারণা।

এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শরিফুল হক বুধবার সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায় তারা ওযুধগুলো জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে স্টোরকিপার মশিউরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। এর পেছনে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আটক দুই জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তবে মশিউর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এই স্টোর থেকে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ওষুধ সরবরাহ করা হয় সবার সামনেই। আর কাটলি এলাকার যে লোকটি ধরা পড়েছে, সে তো একজন ভাঙ্গারির ব্যবসা করে। হাসপাতাল থেকেও স্যালাইনের পরিত্যক্ত ব্যাগ ইত্যাদি টুকিয়ে নিয়ে যায়।

পূর্বধলা হাসপাতালে ওষুধের স্টোরের দায়িত্বে থাকা আবুল কালামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গণির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন নীলোৎপল তালুকদার বলেন, হাসপাতালের সরকারি ওষুধ চোরাকারবারের চক্রে সিএস কার্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে ও তা প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :