শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০১৭, ১৩:০৯

খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ এনে আবাসিক শিক্ষক লোপা আহমেদের বহিষ্কারের দাবিতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপাচার্য বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল শিক্ষার্থী রাত প্রায় ১১টা ৩০ মিনিটে তাদের হল গেইটের তালা ভাঙে। এরপর প্লে-কার্ড হাতে বিক্ষোভ করতে করতে নিউমার্কেট হয়ে প্রায় রাত ১২টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বাসভবনের সামনে আগুন জ্বালিয়ে ও উপাচার্যের বাসভবনের গেইটে ধাক্কা দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে উপাচার্যের নির্দেশে ছাত্রীদের উপাচার্য বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। উপাচার্য তাদের অভিযোগ শুনেন এবং ব্যবস্থা নেবেন বলে ছাত্রীদের আশ্বাস দেন।

ছাত্রীদের অভিযোগ লোপা আহমেদ তাদের সাথে প্রায়ই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কারণে-অকারণে খারাপ ব্যবহার ও গালমন্দ করেন। হল প্রাধ্যক্ষকে এসব বিষয়ে জানানো হলেও তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রাধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেননি।

ছাত্রীরা জানান, সম্প্রতি ওই শিক্ষককে হলের ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের কারণে বহিষ্কার করা হয়। প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুবিনা খোন্দকার ছাত্রীদের আশ্বাস দেন, তিনি আর আবাসিক শিক্ষক হিসেবে থাকবেন না। কিন্তু তাকে আবারও হল অফিসে কর্মরত অবস্থায় দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুয়েত মৈত্রী হলের এক শিক্ষার্থী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘তিনি প্রায়ই আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমাদের অপমান করেন। এমনকি মাঝে মধ্যে আমাদের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যা আমাদের আত্মসম্মানে আঘাত করে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ছাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগেও ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহারের কারণে আবাসিক শিক্ষক লোপা আহমেদ তিনবার বহিষ্কৃত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :