রাস্তা বন্ধ করে হকারদের সমাবেশ, যাত্রী ভোগান্তি
পুনর্বাসনের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছেন উচ্ছেদ হওয়া হকাররা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা এই সমাবেশ চলে। এ সময় আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
বাংলাদেশ হকার্স সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ও পল্টন এলাকায় উচ্ছেদ হওয়া হকাররা।
ফুটপাত পথচারীদের চলাচলে বাধাহীন করার জন্য ওই সব এলাকা থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা ও হকার উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে হকাররা পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন হকাররা।
এদিকে পুনর্বাসন না করে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে হকারদের পক্ষ থেকে রিট করা হলে গত ১৪ মার্চ উচ্ছেদ অভিযান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সমাবেশ থেকে হকার নেতারা বলেন, অবৈধভাবে হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি বন্ধসহ পুনর্বাসনের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা বলেন, দাবি না আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
হকারদের রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেই লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় প্রেসক্লাবের সামনে। এ ছাড়া রায়ট কার ও জলকামানের গাড়িও সতর্ক অবস্থায় তৈরি রাখে পুলিশ।
হকাররা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দেশে যে কেউ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করবে। জনগণের যাতে ভোগান্তি না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখছি।’
হকারদের পুনর্বাসনের দাবি করে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের আহ্বায়ক আব্দুল হাশিম কবির বলেন, ‘হকার পুনর্বাসনের জন্য সঠিকভাবে তালিকা করতে হবে। মেয়রের আড়াই হাজার হকারের তালিকায় প্রকৃত হকার নেই। আছে মেয়রের আজ্ঞাবহ লোক। প্রকৃত হকারদের তথ্য নিয়ে তালিকা করে প্রকৃত হকারদের পুনর্বাসন করতে হবে।’
পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করার দাবি জানিয়ে সমাবেশের সভাপতি বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আবুল হোসেন জানান, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/জিএম/মোআ)