প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: তিন কর্মকর্তা আবার রিমান্ডে

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলায় বিমানের তিন কর্মকর্তার আবার একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

তারা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম।

পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ইন্সপেক্টর মাহবুবুল আলম এই রিমান্ড আবেদন করেন।

এর আগে দুই দফা ১২ দিনের রিমান্ড শেষে নাজমুল ও শাহ আলমকে গত ২৪ জানুয়ারী কারাগারে পাঠিয়েছেল আদালত। অন্যদিকে দুই দফা ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমানকেও কারাগারে পাঠায় আদালত।

এ মামলায় কারাগারে থাকা অপর আসামিরা হলেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কমকতা। তাদের ওপর এই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা গত ২৬ নভেম্বর এই উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উক্ত উড়োজাহাজ গত ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি অনুমানিক দুই ঘণ্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান। এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় উড়োজাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই তুর্কিমিনিস্তানের রাজধানীতে পাইলট অবতরণ করতে বাধ্য হন। এরপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করে প্রধানমন্ত্রী উক্ত উড়োজাহাজেই বুদাপেস্ট যান।

এই ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ গত ২৮ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতা উঠে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/আরজেড/জেবি)