সাড়ে ছয় ঘণ্টায় ভোট ৬০ শতাংশের বেশি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার বেলা আড়াইটার দিকেই ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল। এই হারে চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত ভোটপ্রদানের হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
সকাল আটটা থেকে ১০৩ কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর একটি কেন্দ্রে এবং জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে আরও একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। এর বাইরে আরও তিন থেকে পাঁচটি কেন্দ্রে সাময়িক উত্তেজনার খবর জানিয়েছেন আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি মাসুদ আলম।
সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা যায়। বেলা সাড়ে ১১টার সময়ই ভোট প্রদানের হার বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়ে যায় বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বাংলাদেশে সব সময় ভোট সকালে এবং বিকালে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। সবচেয়ে কম থাকে দুপুরের দিকে। কুমিল্লাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দুপুরের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভিড় কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা দুইটার পর আবারও ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
বেলা পৌনে তিনটায় রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাটাইমসের। এ সময় তিনি জানান, বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোট প্রদানের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্য সব নির্বাচনী এলাকার কম কুমিল্লাতেও ভোট নেয়া হবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। তবে যেসব ভোটার এই সময়ের ভেতরে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকবেন, তারা যতক্ষণ না ভোট দিতে পারেন, ততক্ষণই নেয়া হবে ভোট।
সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সরকার বা সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে এত ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে ফাঁকা হওয়া সংসদীয় আসন সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) এর উপনির্বাচনেও ভোটারদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনে উপনির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ শতাংশের কম। গত ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭০ শতাংশের কম।
ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এমবি/ডব্লিউবি