দুর্গন্ধময় বরিশাল নগরী

বরিশাল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০১৭, ১৯:৪৫

চারদিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেয়ায় নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো ময়লা জমে একাকার। নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।

চার দিন ধরে ময়লা ফেলে রাখায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে সবাইকে কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব ফেলছে ব্যবসায়ীদের বিকিকিনিতে।

ব্যস্ততম এলাকা নগরীর বিবির পুকুরপাড়, সদর রোড, লঞ্চঘাট, বিএম কলেজ রোড, শীতলা খোলা, বগুড়া রোড, নথুল্লাবাদ, সিএনডবি রোডসহ নগরীর বিভিন্ন সড়কের সামনে ময়লা স্তুপাকারে পড়ে থাকায় এখন চলাচল করা পথচারীদের জন্য দায় হয়ে পড়েছে।

পথচারী নারগিস আক্তার বলেন, আমরা নিয়মিত কর পরিশোধ করি তাহলে সেবার বেলায় এমন হবে কেন?

জয়নাল আবেদিন নামের আরেকজন বলেন, প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের বেলায় নগরীর কোথায়ও ময়লা পড়ে থাকত না। তিনি নিজে তদারকি করতেন। আর বর্তমান মেয়র আহসান হাবিব কামাল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নগরবাসীর ভোগান্তির শুরু। তা না হলে তিন দিন ধরে সদর রোডের মত স্থানে ময়লা পড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে মেয়রের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

কর্মবিরতিতে থাকা আন্দোলনরত পরিচ্ছন্ন কর্মী মো. হোসেন ঢালী জানান, মেয়রের সবকিছু চলে, কেবল তাদের বেতন দেয়ার বেলায় অসুবিধা। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের বেতন সাত হাজার। সেখানে দেয়া হয় পাঁচ হাজার করে তাও আবার পাঁচ মাস ধরে বকেয়া। এখন আপনারাই বলুন, কত দিন আর বেতন ছাড়া দেনার দায় মাথায় নিয়ে কাজ করা যায়। এজন্য এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আর কাজে নামব না।

এই পরিচ্ছন্ন কর্মী আরও বলেন, মেয়র এসে বলুক আজ বেতন দেবেন। দেখবেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে নেমে দুই ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিস্কার করে দেব।

আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সিটি করপোরেশনের অ্যাসেসর কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এই নিয়ে পাঁচ মাস হলো সিটি করপোরেশনের নিয়মিত ৫৪২ এবং অনিয়মিত এক হাজার চারশ কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। এর আগেও তারা অন্দোলন করেছিলেন। তখন মেয়র বকেয়া বেতনভাতা দেয়ার আশ্বাসে দেয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলেন। এবার আর কোনো আশ্বাসে কাজ হবে না। দাবি বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

চলমান অন্দোলন ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য নাগরিক সেবা বন্ধ ও ভোগান্তির বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, তিনি এসে বকেয়া চার মাসের বেতন দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কেবল এক মাসের বেতন বকেয়া ছিল। জানুয়ারি মাসের বেতন ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে দিতে চাইলে তারা একত্রে নেয়ার দাবি করে অন্যদের সঙ্গে কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছে। এখন এক কোটি ১০ লাখ টাকার বেতন দিতে হলে সময় দিতে হবে। কর আদায় করতে পারলে বেতন দেয়া যেত। তাই বলে সময় না দিয়ে কর্মবিরতিতে যাওয়টা অযৌক্তি মনে হয় এই কর্মকর্তার কাছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

বিল বকেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ বিদ্যুতে চলছে ইউপি কার্যালয়

কেজি দরে অপরিপক্ব তরমুজ, পিস চাইলে দাম আকাশ ছোঁয়া

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

যারা ট্রেনে আগুন দেয় তারাই ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়ায়: রেলমন্ত্রী

আলফাডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :