বগুড়ায় ওসির ঝুলন্ত লাশ: সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ন ম আবদুল্লাহ আল হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক স্ত্রী রুমানা আকতার মিতুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রোজী।
বুধবার রাতে সাবেক স্ত্রী মিতু ছাড়াও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।
এদিকে ওসি হাসানের মৃত্যুতে মামলা হলেও তার লেখা সেই চিঠিতে তিনি কি লিখেছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলছেন না কেউ। সব মহলের প্রশ্ন- তাহলে ওই চিঠিতেই কি লেখা ছিল তার মৃত্যুর মূল কারণ?
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, রোজীর স্বামী ওসি হাসানকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা করে দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু। মৃত্যুর আগের রাতে মিতুর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছেন নিহতের পবিরার।
এদিকে গাবাতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ওই মামলার কোন ধরনের তথ্য দিচ্ছেন না। তার কাছে কিছু জানতে চাইলে উল্টো খারাপ ব্যবহার করছেন। তিনি মামলার আর্জির কপিটাও দিতে অস্বীকার করেন।
একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাতেই মামলার প্রধান আসামি মিতুকে পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু তার আটকের বিষয় পুলিশ অস্বীকার করে বলেছে- তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে ওসি হাসানের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি হাসান নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কদমতলা এলাকার গড়মাটি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। তিনি ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর পাবনা সদর থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া রোজী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে রাজশাহীর উপ-শহরে বসবাস করেন। ওসি হাসান পাবনা থাকাকালে শহরের শালগাড়িয়ার মোকসেদ আলীর মেয়ে এক কন্যা সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্ত রুমানা আকতার মিতুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে তাকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। পরে বিশ লাখ টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন।
ওসি হাসান ৬ ফেব্রুয়ারি পাবনা সদর থানা থেকে বদলি হয়ে গাবতলী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
জানা গেছে, বুধবার সকালে থানায় এসে কিছুক্ষণ থাকার পর হাসান ডিউটি অফিসার এএসআই হাসিনাকে একটি চিঠি ও চাবি দিয়ে বলেন, ‘আমার বদলি হলে তোমরা ক্ষমা করে দিও’ এরপর তিনি থানা থেকে বের হয়ে যান।
এর কিছুক্ষণ পর বেলা ১১টার দিকে কোয়ার্টার থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে এএসআই হাসিনার হাতে দিয়ে যাওয়া চিঠিতে কি লিখেছিলেন তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)