কুমিল্লার উন্নয়নে আমাকে পাশে পাবেন: সীমা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেরে গেলেও স্থানীয় উন্নয়নে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি বিজয়ী প্রার্থী বিএনপির মনিরুল হক সাক্কুকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভোটের ফল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দেন সীমা। তিনি এ সময় কথা বলেন খুবই অল্প। তবে এর মধ্যেও জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে তাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কুমিল্লায় নির্বাচনী প্রচারে চষে বেড়িয়েছেন সীমা। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়ায় নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। সকালে ভোট দেয়ার পরও তিনি এই আশাবাদের কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, তিনি মেনে নেবেন।
সন্ধ্যায় যখন ভোটের ফল আসতে শুরু করেছিল তখন একেবারে শুরুর দিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থী হেরেছেন ১১ হাজার ভোটে।
এই পরাজয়ের পর সীমা সময় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিনি যখন আমাকে ডাকবেন, তখনই আমাকে পাবেন।’
আলোচিত এই নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকেই সীমা ও সাক্কুর সমর্থকদের মধ্যে অনেকটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গেছে। বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে যেখানে পরস্পরের কঠোর সমালোচনা এক স্বাভাবিক চিত্র সেখানে কুমিল্লায় সাক্কু ও সীমা একে অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন-এমন উদাহরণ বিরল। বরং একজন অন্যজনের প্রশংসা করেছেন, এমন কথাও এসেছে গণমাধ্যমে।
২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাক্কু হারিয়েছিলেন সীমার আফজল খানকে। তবে সীমা তখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর সাক্কু মেয়র থাকার সময় সীমা দায়িত্ব পালন করেছেন প্যানেল মেয়র হিসেবে।
ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/ডব্লিউবি