বড়হাটে অপারেশন ‘মেক্সিমাস’ এ গ্যাস ব্যবহার

মাহবুবুর রহমান, মৌলভীবাজার
| আপডেট : ৩১ মার্চ ২০১৭, ১৩:৫৬ | প্রকাশিত : ৩১ মার্চ ২০১৭, ১১:১৫

মৌলভীবাজার পৌর এলাকার বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানাকে ঘিরে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে অপারেশন ম্যাক্সিমাস। বাড়ির ভেতরে আটকে পড়াদের কাবু করতে দেয়াল ছিদ্র করে গ্যাস ছুড়েছে তারা। পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই গ্যাস ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদেরকে অজ্ঞান করে দেবে।

বুধবার আস্তানাটি ঘেরাও করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে অভিযান শুরু করে সোয়াট। তারা গুলি করতে করতে বাড়িটির দিকে এগিয়ে যায়। তবে ভেতর থেকে আজ আর কোনো গুলি হয়নি। সাড়াশব্দও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না।

বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে মেক্সিমাস।

মনিরুল বলেন, সোয়াতের সদস্যরা বাড়ির দেয়াল ছিদ্র করে ভেতরে গ্যাস ছুড়েছে। এই গ্যাস অজ্ঞান করে দেয়।

তবে এই আস্তানায় কয়জন আছে সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘তাদের সংখ্যা কত, ভেতরে তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় আছে, সেটাও আমরা বলতে পারছি না। অভিযান শেষ হলেই এ বিষয়ে জানানো হবে।’ বাড়ির আশেপাশে ঘনবসতি থাকায় আমাদের অভিযানটা বিলম্বিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশনুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল আটটায় সোয়াট সদস্যরা অভিযান শুরু করেছেন।

আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে শহরের আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা বাড়িটির আশপাশ থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সকালে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল। তিনি বড়হাট এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানীয়দের সরিয়ে দেওয়ার কাজ তদারকি করছেন। সাংবাদিকদেরও যেন জটলা বেঁধে এ এলাকায় দাঁড়িয়ে না থাকেন সে জন্য অনুরোধ করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁরা মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে দোতলা বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। ওই বাড়ি ঘিরে রাখার পরে সেখানকার তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বুধবার ভোরে শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানাটি শনাক্ত করা হয়।

প্রায় ৩৪ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে ‘ছিন্নভিন্ন সাত থেকে আটজনের লাশের অংশ’ পাওয়ার কথা জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বুধবার বিকালেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা নিহত হয়। তারা একই পরিবারের সদস্য। বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশের ‘অপারেশন হিট ব্যাক’সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :